পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এবার কি ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবার বাজার ধরতে আসছেন ইলন মাস্ক! জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই মার্কিন ধনকুবের।সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, টেসলা ও স্পেস এক্স -এর সিইও ইলন মাস্ক তার স্টারলিঙ্ক ব্র্যান্ডের অধীনে ভারতে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট পারমিটের আবেদন করেছেন।
জানা যাচ্ছে শুধু ইলন মাস্কই নয় ভারতের ৫জিএর বাজার ধরতে আগ্রহ দেখাচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। যারমধ্যে আছে কানাডার টেলিস্যাট, অ্যামাজন,ওয়ানওয়েব। এছাড়াও দেশজ সংস্থার মধ্যে আছে টাটাগ্রুপের নেলকো, জিও, ওয়ানওয়েবপ্রভৃতি সংস্থা। স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এইদেশে চালু করতে আগ্রহী এই সবকটি সংস্থাই।
এইসংস্থাগুলির মধ্যে অবশ্যই অন্যতম ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই রিলায়েন্সের জিওর স্যাটেলাইট আর্ম এবং ভারতী গ্রুপের ওয়ানওয়েব পেয়ে গিয়েছে ৫জি এর লাইসেন্স।
ইলনমাস্কের আবেদন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ইলন মাস্কের আবেদনপত্র জমা পড়েছে। নিয়মমাফিক তা পর্যালোচনা করা হবে।
স্টারলিঙ্কের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই বেশ জলঘোলা চলছে। উল্লেখ্য যে, গত বছর ভারতে নেট সার্ভিস দেওয়া নিয়ে বেশ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল স্টারলিঙ্ক। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল যে, চলতি বছরেই তারা ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে। কিন্তু মাঝপথে সরকারের অনুমতি না মেলায় ঘটে যায় চূড়ান্ত বিপত্তি, আর এর ফলে ভারতে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা আনতে গিয়ে হোঁচট খান টেসলা ও স্পেসএক্স কোম্পানির সিইও ইলন মাস্ক। এমনকি মাস্কের সংস্থা প্রিবুকিংও শুরু করেদিয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যতক্ষণ দরপত্র দিয়ে রীতিমেনে স্পেক্টাম নিলামে অংশ নিচ্ছেন এবং লাইসেন্স পাচ্ছেন ততক্ষণ এইভাবে টাকা নিতে পারবে না মাস্কের সংস্থা। প্রিবুকের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন তারা।
ভারতে স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন এবং সংযোগ প্রদানের জন্য বেশ কিছু অনুমোদন পেতে হয়। এই ছাড়পত্রগুলি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার থেকে দেওয়া হয় এই অনুমতি। তবে কি এবার ভারতের ইন্টারনেট জগতে ইলন মাস্ক জগতের শুরু, আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর পেতে এখন সময়ের অপেক্ষা। ( ৩০৯)