পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দেশের মধ্যে প্রথম গত বছর মে মাসে এই রাজ্যের মরণোত্তর দেহদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত বা প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়েছিল বেলগাছিয়া আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর শনিবার আবারও ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে।
২০ জানুয়ারি, নিউটাউনের বাসিন্দা ৮৯ বছর বয়সী নির্মল চন্দ্র দাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটে বা সিএনসিআই হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার নির্মল চন্দ্র দাস মারা যান। এরপরই তার পরিবারের পক্ষে থেকে ‘গণদর্পন’ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
প্রসঙ্গত– আমাদের রাজ্যে এই গণদর্পন সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে মরণোত্তর দেহদান কর্মসূচির পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে। নির্মল দাস মৃত্যুর আগেই দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। আর তার মৃত্যুর পরই তার দুই ছেলে বাবার দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহারের জন্য দানের প্রক্রিয়া শুরু করেন। বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেই গণদর্পনের পক্ষ থেকে দ্রুত যোগাযোগ করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাসের সঙ্গে। তিনি জানান– ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহে নির্মল চন্দ্র দাসের দেহ যদি রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত বা প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করা হয়– তবে ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে।