পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যেই চলছে বিক্ষিপ্ত ঘটনা। সকাল ১১টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে আসানসোলে, ৩০.৪২ শতাংশ। বিধাননগরে ২৯.৮১ শতাংশ, চন্দননগরে ২৫.৬৯ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ভোট পড়েছে ২৮.০৭ শতাংশ।
ভোটে উত্তেজনায় ভরপুর থাকল আসানসোল। শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের হেনস্তা হতে হচ্ছে। এর মধ্যেই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন তিনি। এদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, সব নিয়ম শুধু বিরোধীদের জন্যই। মানুষ সব দেখছে, ফল ভুগতে হবে’। পাশাপাশি বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি।
এদিকে পুরভোটে আসানসোলের পাশাপাশি সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াল বিধাননগরে। সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। এ বার, বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী ছাপ্পা ভোট করাচ্ছিলেন। ভুয়ো ভোটের অভিযোগ ওঠে।
সকাল থেকেই চলছে শিলিগুড়ি , চন্দননগর, বিধাননগর, আসানসোল পুরনিগমে ভোট। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার ভোটের ফল ঘোষণা। প্রথমে ২২ জানুয়ারি এই চার পুরনিগমে ভোট হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। করোনা কারণে তা পিছিয়ে যায়। শনিবারের ভোটে চার পুরনিগমের জন্য ৯ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার থাকছে বুথের দায়িত্বে। বাকি ৫০০ বাহিনী থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং ইত্যাদির জন্য। রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও লাঠিধারীরা। চলছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি।
বিধাননগরে ভোটের দিন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে সকালেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই মহিলা প্রার্থী। এদের মধ্যে একজন তৃণমূল ও অপরজন বিজেপির প্রার্থী। মহিলা পুলিশকর্মী না থাকায় অপর এক পুলিশ কর্মী তাকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন।
অভিযোগ ওঠে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবাসনের ওই বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। এই খবর পেয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবাসনের বুথে আসেন বিজেপি প্রার্থী প্রণীত সাহা ঘোষ৷ অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী এবং বিদায়ী কাউন্সলির মিনু দাস চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বিজেপি এবং সিপিএম৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থী এবং তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনায় দু’ জনকে আটক করেছে পুলিশ৷