পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সারা বাংলা ব্যাপী রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা ‘গানের ভিতর দিয়ে’। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল নব রবি কিরণ এবং নব নালন্দা সঙ্গীত শিক্ষায়তন। কলকাতা সহ কোচবিহার, দিনাজপুর, মেদিনীপুর, চুঁচুড়া, বীরভূম, বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকেও প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করে।
তিনটি বিভাগ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। উন্মেষ (১০-১৪ বছর), বিকাশ (১৫-১৮ বছর) এবং ঐশ্বর্য (১৯ বছর ও তার ঊর্ধ্বে)। প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপ প্রাক প্রাথমিক অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায় অনুষ্ঠিত হয় নব নালন্দা কলকাতা ও শান্তিনিকেতন শাখায়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় সেমি ফাইনাল রাউন্ড, নালন্দা ভবন কলকাতায়। কলকাতা, পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। এদিন বিচারকের আসনে ছিলেন অপালা বসু সেন, প্রমিতা মল্লিক, অলোক রায় চৌধুরী, জয়তী চক্রবর্তী, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব মণ্ডল।
উন্মেষ বিভাগে প্রথম হয়েছে শাল্মলি দাস, দ্বিতীয় শতভিষা মিশ্র, তৃতীয় তন্বঙ্গী মুখার্জি। বিকাশ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে মোহনা বেরা, দ্বিতীয় বিদিশা ব্যানার্জি, তৃতীয় অঙ্কিতা গিরি। ঐশ্বর্য বিভাগে প্রথম হয় মিতালি মণ্ডল, দ্বিতীয় শ্রুতি ব্যানার্জি, তৃতীয় অঙ্কিতা চক্রবর্তী। ভারতী মিত্র স্মৃতি পুরস্কার (সুরের সাথী) প্রদান করা হয় সময়িতা মণ্ডল (উন্মেষ), সত্যজিৎ দেব রায় (বিকাশ) এবং পৌলমী চক্রবর্তীকে (ঐশ্বর্য)।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা গৌরী বসু, ইমন চক্রবর্তী, অরিজিৎ দাশগুপ্ত, নব নালন্দার প্রিন্সিপাল অরিজিৎ মিত্র প্রমুখ।
নব নালন্দার অধ্যক্ষ অরিজিৎ মিত্রর কথায়, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের পরম্পরা বজায় রাখার জন্য আমরা ঠিক করেছিলাম সারা বাংলাজুড়ে একটা প্রতিযোগিতা করব। কারণ বাংলার নানান প্রান্তে অনেক প্রতিভা রয়েছে। যারা সঠিক সুযোগ পায় না, অনেক প্রতিবন্ধকতাও থাকে। তাদের বিকাশের জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। পাশে পেয়েছি ইজেডসিসি কে’।
এদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রী বসু, মৌনীতা চট্টোপাধ্যায় এবং সাম্য কার্ফা।