আগ্রা, ১৭ জানুয়ারি: ফজরের ওয়াক্ত। ধীরে ধীরে মুসল্লিরা জড়ো হচ্ছেন মসজিদে। মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকে কুরআন শরীফের পোড়া অংশ দেখতে পান। মুসল্লিরা সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেন এবং ইমামকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করান। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার ট্রান্স যমুনা কলোনির একটি মসজিদে। এই ঘটনায় মিশ্র জনগোষ্ঠী এলাকায় এই ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে নামায পড়তে আসা মুসল্লিরা মসজিদে কুরআন শরীফের পুড়ে যাওয়া কাগজের টুকরো দেখতে পান। তাঁরা তৎক্ষণাৎ বিষয়টি মসজিদের ইমামকে জানান। ইমাম তখন উপরের তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। তিনিও বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তিসরি মসজিদ ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্তের জন্য পুলিশের একটি টিম গড়া হয়েছে।
ছত্তা সার্কেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার হেমন্ত কুমার জানিয়েছেন, ‘মসজিদের রান্নাঘর থেকে একটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডারও চুরি হয়েছে। ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, তবে এই ঘটনা চুরির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে না।’
ইন্ডিয়ান মুসলিম ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি সামি আঘাই বলেন, ‘এই ঘটনাকে চুরির ঘটনা বলে এড়িয়ে গেলে হবে না। এই শহরে বেশ কয়েক দশক ধরে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। এই ধরনের ঘটনা অতীতে দেখা বা শোনা যায়নি। সেই সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ককে বিঘ্নিত করার জন্য এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র।
আগ্রার তেডি বাগিয়া এলাকার ইসলামনগর মূলত মুসলিম অধ্যুষিত। তবে এই এলাকায় প্রায় ৩০-৩৫টি হিন্দু পরিবারও রয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ায় এই এলাকায় অনেকগুলি মসজিদ রয়েছে। তার মধ্যে তিসরি মসজিদের দরজা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে, নামাযিরা যেকোনও সময়ে আসতে পারে।’
সামি আঘাই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল শীঘ্রই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানাবে।