নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বরঃ এক খ্রিস্টান যুবতী দলিত কোটার সরকারি চাকরির সুবিধা পেতে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের কথা বলে কোর্টে আর্জি জানায় তাকে তফসিলি জাতির মধ্যে গণ্য করার নির্দেশ দেওয়া হোক। কেননা তিনি নিজ ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্মের নিয়মনীতি মেনে চলছেন।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার আর্জি খারিজ করে দিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আসেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তাল এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ সি সেলভারানির আবেদন খারিজ করে দেওয়ার সময় স্পষ্টভাবে জানায় শুধু কোটার সুবিধা পেতে ধর্ম পরিবর্তন সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্যকেই ব্যাহত করবে।
সংরক্ষণ শুধু পাওয়া উচিত তাদের পশ্চাদপদতা ও অনুয়ন্ননের নিরিখে দলিত কোটায় চাকরি হাসিন করতে ধর্মান্তরণ আইন গ্রাহ্য হতে পারে না। কোর্ট জানায় আবেদনকারী জন্মগতভাবে খ্রিস্টান, তাঁর বাবা এবং মা খ্রিস্টান ছিলেন তাঁদের বিয়ের আগে। খ্রিস্টানদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর পরিবার এখনও খ্রিস্টধর্মের আচরণ অনুশীলন মেনে চলে।
তাছাড়া তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন সামাজিকভাবে তার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই। ধর্ম পালটালেই সংরক্ষণের সুযোগ পাওয়া যায় না। পিছিয়েপড়া মানদণ্ড বিচার করতে হয়। একজন জন্মগত সূত্রে খ্রিস্টানের কোনও গোষ্ঠী, বর্ণ থাকতে পারে না।
আদালত জানায় ভাতে ধর্মপালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ধর্ম পরিবর্তনেরও স্বাধীনতা রয়েছে। সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট ধর্মে প্রতি ভালোবাসা ও অনুরাগ থেকেই ধর্ম পরিবর্তন করেন মানুষ। সেখানে সরকারি চাকরির টোপ দেওয়া বা লোভ দেখানো হলে ধর্ম পরিবর্তনের আসল লক্ষই পূরণ হয় না।
এটা সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণার সামিল তাই এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, কট্টর হিন্দত্ববাদী গোষ্ঠী দলিত আদিবাসী সমাজের মধ্যে যারা প্রচার করছেন তারা ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন যে পুনরায় তারা হিন্দু ধর্মে ফিলে এলে সংরক্ষণের আওতায় এসে সরকারি চাকরির সুবিধা পেয়ে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে তারা কিছুটা ধাক্কা খেতে পারেন।