পুবের কলম প্রতিবেদক: গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ডব্লিউবিসিএস (গ্রুপ সি)-এর চূড়ান্ত ফলাফলে আল-আমীনের দুই পড়ুয়ার জয়েন্ট বিডিও পদে সাফল্য মিশনের মুখ উজ্জ্বল করেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানার চোয়া গ্রামের আবদুল হামিদ আনসারি ও তার স্ত্রী শুবরতন বিবির সন্তান হাবিল আনসারি জয়েন্ট বিডিও হওয়ায় তাদের পরিবার ও এলাকায় খুশির হাওয়া। সরকারি অফিসার হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আল-আমীন মিশন অ্যাকাডেমি বারুইপুর শাখায় ডব্লিউবিসিএসের কোচিং নেওয়া শুরু তার। কয়েক বছরের লড়াইয়ের ফল তার এই সাফল্য। হাবিল বর্তমানে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে সাব-ওভার সিয়ার পদে কর্মরত।
মালদা জেলার পারবৈদ্যনাথ গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান ও জমাহার বিবির মেধাবী সন্তান মুহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০১০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর গণিতে স্নাতক ২০১৩ সালে। ২০১৭-এ ডব্লিউবিসিএস-এর ইন্টারভিউয়ে সাফল্য না এলেও আরও বেশি পরিশ্রম করতে থাকে। এই সময় ২০১৮ সালের মার্চে আল-আমীনের আবাসিক ডব্লিউবিসিএস কোচিংয়ে ভর্তি হয়। ২০১৮ সালের ডব্লিউবিসিএস (গ্র&প ডি)- এ সফল হয়ে ইন্সপেক্টর অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটিজ পদে বর্তমানে মুর্শিদাবাদে কর্মরত। নিজের সাফল্যে আল-আমীনের প্রতি কৃতজ্ঞ সেলিম জাহাঙ্গীর জানায়– খুব কঠিন সময়ে মিশন কর্তৃপক্ষ নামমাত্র ফিজে তাকে হস্টেলে কোচিংয়ের সুযোগ না দিলে– তার সফল হওয়া সম্ভব হত না।
দুই ছাত্র হাবিল ও সেলিম জাহাঙ্গীর-এর জয়েন্ট বিডিও হওয়ার খবরে এম নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন– নিউ টাউনে নির্মীয়মান ‘আল-আমীন মিশন ইন্সটিটিউট ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’-এর নির্মাণ শেষ হলে এখানে বড় পরিসরে সিভিল সার্ভিসের আবাসিক কোচিং শুরু হবে। আল-আমীন মিশন স্টাডি সার্কেলের ডিরেক্টর দিলদার হোসেন বলেন– ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি সাফল্যের জন্য মিশনের ডব্লিউবিসিএস কোচিংয়ের পরিকাঠামোগত ও পদ্ধতিগত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।