পুবের কলম প্রতিবেদক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আর তা নিয়ে সোমবার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। বুধবার সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর দু’সপ্তাহের জন্য অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ জারি করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ১৪ মার্চ। জানা গিয়েছে, তারপরই আদালত ঠিক করবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএলএসটি নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীরা বেশ কিছু প্রশ্নও আদালতের সামনে পেশ করে। তারপরই সিবিআই অনুসন্ধানের কথা বলেন বিচারপতি। তাঁর আরও নির্দেশ ছিল ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে অনুসন্ধানের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
অন্যদিকে রাজ্যের তরফে অবশ্য হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়। আবেদন করা হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে। দ্রুত শুনানি ও স্থগিতাদেশ দাবি করেছিল রাজ্য। তারপর এ দিন সিবিআই অনুসন্ধানের উপর দু’সপ্তাহের জন্য অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। সোমবার এসএলএসটি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। কেননা, এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি নিয়েও বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
কয়েকদিন আগে এসএসসির দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান হাজিরও হন। তাঁরা এজলাসে দাঁড়িয়েই জানিয়েছিলেন নিয়োগ নিয়ে কিছুই জানেন না। এজলাসে প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোককুমার সাহা জানান, তিনি নিজে থেকে কোনও সই করেননি। তাঁর সই স্ক্যান করে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়টি নাকি দেখতেন প্রোগ্রাম অফিসার স্মরজিৎ আচার্য এবং উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। একই কথা বলেন আর এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারও। যা নিয়ে আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একে অপরের উপর দায় চাপাতে থাকে। যা নিয়ে আদালত প্রশ্ন তোলে, তাহলে সুপারিশপত্র দিল কে? গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগে তাই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।