Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

যুক্তরাষ্ট্রী কাঠামোর পরিপন্থী- মোদি হাসিনা বৈঠক নিয়ে পত্র প্রতিবাদ মমতার

আবুল খায়ের

Published: 24 June, 2024, 07:11 PM
যুক্তরাষ্ট্রী কাঠামোর পরিপন্থী- মোদি হাসিনা বৈঠক নিয়ে পত্র প্রতিবাদ মমতার

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ রবিবারেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সোমবার পত্র প্রেরণ করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা। বাংলাকে অন্ধকারে রেখে গঙ্গা তিস্তা চুক্তি নিয়ে মোদি হাসিনার আলোচনায় বেজায় অসন্তুষ্ট তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে তিন পাতার চিঠি লিখে তাঁর প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পশ্চিমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, গঙ্গা-তিস্তার জল-বণ্টন নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির বিরোধী নন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবানও বটে। সেই কারণে পড়শি বাংলাদেশের সঙ্গে সড়কপথ, রেলপথে যোগযোগ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু, জল মহামূল্যবান। রাজ্যের মানুষের জীবনরেখা হল নদীর জল, যার মধ্যে অন্যতম গঙ্গার জল। তাই এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আমরা আপস করব না। রাজ্যের মানুষকে বিপদে ফেলা আমরা মেনে নেব না। এই চুক্তির ফলে রাজ্যের মানুষ সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে মমতার অভিযোগ। তিনি লেখেন, তাঁকে অন্ধকারে রেখে ‘ফরাক্কা-গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি’ নবীকরণের জন্য ‘যৌথ কারিগরি কমিটি’ তৈরি করা হয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রী কাঠামোর পরিপন্থী।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, ফরাক্কায় নদীর পলি তোলে না। ফলে কলকাতা পোর্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি বন্ধুত্ব করতে চাই। কিন্তু নিজের মানুষকে ভাতে মেরে নয়। আত্রেয়ী নদীর জল বালুরঘাটের মানুষ পেতেন। বাংলাদেশ সরকার চিনকে দিয়ে একটা প্রোজেক্ট করে গোটা জল আটকে দিয়েছে।

চিঠির পাশাপাশি এ দিন নবান্ন সভাঘরে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে ওরা বিক্রি করে দিচ্ছে। ওরা জানে না উত্তরবঙ্গের মানুষ জল পাবে না। ওরা চুক্তি করেছে ২০২৬ সালে তামাদি হতে চলা ফরাক্কা চুক্তির পুনর্নবীকরণ হবে। বিক্রি করে দিল বাংলার জল! পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ' তাহলে কিন্তু দেশ জুড়ে, বাংলা জুড়ে আন্দোলন হবে'।

উল্লেখ্য, গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির মেয়াদই শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। এই আবহে শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ‘ফরাক্কা-গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি’ নবীকরণের জন্য ‘যৌথ কারিগরি কমিটি’ তৈরি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দু’দেশ জল বণ্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণের পথে এক পা এগোল বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

 

 

Leave a comment