পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ঘিরে দেশজুড়ে চলছে আলোড়ন। এরইমাঝে সামনে এল বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় ভুয়ো ছাত্র ভর্তির খবর। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ডবল ইঞ্জিন চালিত হরিয়ানার বিভিন্ন স্কুলে প্রায় চার লক্ষ ভুয়ো ছাত্র ভর্তি হয়েছে।
শীঘ্রই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করবে সরকার- রাজ্যসভায় জানালেন নীতীন গড়কড়ি
শীর্ষ আদালতে খারিজ পুনরায় নিট ইউজি পরীক্ষার আবেদন
মোদিজির জমানায় সত্যের কণ্ঠরোধ করা হয় : রাহুল
এই বিষয়ে ইতিমধ্যে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে চন্ডীগড়ে সিবিআইয়ের দূর্নীতি দমন শাখায় ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০বি, ১৬৭, ২১৮, ৪১৮, ৪১৯, এবং ৪৭৭এ ধারায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হরিয়ানার বিভিন্ন রাজ্যে মোট ২২ লাখ ছাত্র ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে ১৮ লাখ ছাত্রের খোঁজ মিললেও ৪ লাখ ভুয়ো। ঘটনার সূত্রপাতে প্রথমে দু'তিনটি স্কুলে ব্যাপক পরিমাণে ড্রপ আউটের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। তদন্তে দেখা যায় যত পরিমাণ ছাত্রকে ভর্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে প্রকৃত অর্থে তার পরিমাণ অনেক কম। এরপর হরিয়ানার সব সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পড়ুয়া ভর্তির তদন্ত শুরু হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অবশেষে ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্ট মামলাটির তদন্তভার সিবিআইকে দেন।
তদন্তে জানা গেছে ভুয়ো এই বিপুল সংখ্যক অনগ্রসর পরিবারের গরিব পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ হওয়া সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা-সহ মিড-ডে-মিলের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সরকারি সুযোগ সুবিধার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা সামগ্রী, বই, ইউনিফর্মের জন্য বরাদ্দ। এরফলে সরকারি কোষাগারের কোটি কোটি টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে নয়ছয় করা হয়েছে। হরিয়ানা শিক্ষা দফতরের কোন আধিকারিক শিক্ষাকর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।