নয়াদিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বরঃ প্রেম প্রকাশ পাণ্ডে ওরফে পিপি, এক সময়ে কুখ্যাত আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের ডান হাত। বর্তমানে তিনি মহন্ত!
এই কুখ্যাত অপরাধী ১৪ বছর ধরে আলমোড়া জেলে বন্দী ছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি নেপালের বিখ্যাত নাথ সম্প্রদায়ের দণ্ডিনাথজি মহারাজের কাছ থেকে গুরু দীক্ষা নেন। তার নাম হয় প্রকাশ।
মৃত্যুপুরী কেরল, ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪০
অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি সহ ৫ আমলার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, মামলা দায়ের নাইডু প্রশাসনের
কনফারেন্সে যোগ দিতে যাওয়া হচ্ছে না রামলালা তৈরি শিল্পী অরুণ যোগীরাজের, ভিসা বাতিল আমেরিকার
এখন এই পিপি জুনা আখড়ায় দীক্ষিত হয়েছেন। জুনা আখড়ার প্রায় অর্ধেকের মন্দিরের মহন্ত হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে তার নাম। জুনা আখড়ার থানাপতি রাজেন্দ্র গিরি জি মহারাজ তাকে মহন্ত উপাধিতে ভূষিত করেন।
প্রেম প্রকাশ পাণ্ডে ওরফে পিপি ওরফে প্রকাশনাথ ওরফে প্রকাশানন্দ গিরি কে?
ছোটা রাজনের সেকেন্ড ইন কমান্ড প্রেম প্রকাশ পাণ্ডে যার বিরুদ্ধে ৬০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, তোলাবাজি। ১৯৯০ সালে মদ চোরাচালান সহ হামলার ঘটনা দিয়ে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি। মুম্বই আর্থার জেল থেকে পালানোর পরে আন্তর্জাতিক অপরাধীদের তালিকায় যোগ দেওয়ার পরে তার কুখ্যাতিট ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের পর দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। তার পর থেকে তিনি ছোটা রাজনের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে ওঠেন। ১৯৯২ সালে মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীর তালিকায় নাম ওঠে।
শুধু ভারতে নয়, দেশ ছাড়িয়ে নেপাল, মালয়েশিয়া, পাকিস্থানে তার আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছিল। দাউদ ইব্রাহিমকে ১৯৯৮ সালে এবং আবার ২০০০ সালে হত্যার চেষ্টা ছিল তার সবচেয়ে কুখ্যাত প্লটগুলির মধ্যে একটি। পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও আন্ডার ওয়ার্ল্ডে এই কর্মকাণ্ড পিপির জায়গায় আরও পোক্ত করে। তবে ২০২৩ সাল থেকে দীক্ষা নেওয়ার পর তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়, জানা যায় জেল থেকেই তিনি ধ্যান-আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করেছিলেন।
তবে আগামীদিনে সময় বলে দেবে এই মহন্ত হওয়ার পিছনে এক কুখ্যাত অপরাধীর আসল উদ্দেশ্য কি ছিল।