ভুবনেশ্বর, ১১ অগাস্ট: বাংলাদেশের সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে পারে অনুপ্রবেশকারী। এমনই আশঙ্কা করছে ওড়িশা। বিজেপি শাসিত রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইতিমধ্যে রাজ্যে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করা হবে। কোনও বৈধ নথি ছাড়া এরাজ্যে বসবাস করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। হরিচন্দন বলেছেন, "ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের ছাড়া এখানে বসতি স্থাপন করা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।"
আইনমন্ত্রীর কথায়, পড়শী দেশে সেনা অভ্যুত্থানের পর ওড়িশা মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি মেরিন পুলিশ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও হরিচন্দন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওড়িশায় কোনও ধরনের অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও নতুন করে কোনও অনুপ্রবেশকারী রাজ্যে প্রবেশ করেছে কিনা সেবিষয়ে সাম্প্রতিক কোনও গণনা করা হয়নি। গত বছর বিধানসভায় উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, রাজ্যে ১১টি জেলায় ১,৫৭,৪৩২ জন বাংলাদেশি বসতি স্থাপনকারী এবং সাতটি জেলায় ৩,৭৪০ জন অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে মালকানগিরি জেলায়। সংখ্যাটি ১ লাখ ৪ হাজার ২৩৩ জন। নবরঙ্গপুরে ৪৬ হাজার ৮৪৮ জন, খুরদায় ৪ হাজার ৬৫৩ জন, কেন্দ্রাপাড়ায় ৪৪১ জন, জাজপুরে ৩৭৯ জন, রায়গড়ায় ৩০৪ জন, ভদ্রকে ২০০ জন, কোরাপুটে ১৯৪ জন, কালাহান্ডিতে ৯০ জন, বালেশ্বরে ৭৫ জন এবং আঙ্গুলে ১৫ জন শরণার্থী রয়েছেন।
অবিলম্বে বিএসএফের ডিজি এবং স্পেশাল ডিজির অপসারণের নির্দেশ জারি কেন্দ্রের
তামিলনাড়ুতে পরিত্যক্ত স্যুটকেস থেকে উদ্ধার যৌন কর্মীর খণ্ড বিখণ্ড দেহ, গ্রেফতার সন্দেহভাজন
আরজি কর কাণ্ডে ফের স্টেটাস রিপোর্ট তলব, 'দেহ যখন ময়নাতদন্তে পাঠানো হল তার চালান কোথায়', প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রাপাড়ায় সর্বাধিক ১,৬৪৯ জন, জগৎসিংহপুরে ১,১১২ জন, মালকানগিরিতে ৬৫৫ জন, ভদ্রকে ১৯৯ জন এবং নবরংপুরে ১০৬ জন অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। পাশাপাশি খুরদা (ভুবনেশ্বর) এবং বারগড়ে যথাক্রমে ১৯ জন অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। ২০০৫ সালে কেন্দ্রাপাড়ায় ১,৫৫১ জনকে ভারত ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হলেও তাদের এখনও ফেরত পাঠানো হয়নি। রাজ্যের ৪৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং বালাসোর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, জগৎসিংহপুর, গঞ্জাম এবং পুরীর মতো উপকূলীয় জেলাগুলি অনুপ্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।