নয়াদিল্লি, ১৭ জুলাই: কাজের খোঁজে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি এসেছিল ১৪ বছরের এক অনাথ কিশোরী। কাজ না পেয়ে হাতাশায় ভুগছিল সে। কাজ দেওয়ার নাম করে কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসায় কাজে জোরপূর্বক নামানো হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগীতায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ১২ জুলাই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তারা খবর পায় যে, আজমেরি গেটের কাছে একটি পতিতালয়ে এক নাবালিকাকে জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কমলা মার্কেটের স্টেশন হাউস অফিসার (SHO) সি এল মীনার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সহ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অঞ্জলি ওরফে মীনা (৪২) নামে এক মহিলাকে আটক করে পুলিশ। কিশোরীকে উদ্ধার করে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জাকির নগরে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। তারপর তিনি অঞ্জলির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। যিনি শহরের অনাথ ও গৃহহীন কিশোরীদের টার্গেট করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। ওই ব্যক্তি ১৪ বছরের কিশোরীকে অঞ্জলির হাতে দেয়।
গাফিলতির দায় ইঁদুরের ঘাড়ে, বরখাস্ত কর্মী
তামিলনাড়ুতে পরিত্যক্ত স্যুটকেস থেকে উদ্ধার যৌন কর্মীর খণ্ড বিখণ্ড দেহ, গ্রেফতার সন্দেহভাজন
কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা গায়েব! দাবি শঙ্করাচার্যের
কিশোরীকে উদ্ধার করে তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। তার বয়ানও রেকর্ড করে পুলিশ। এরপরই কমলা মার্কেট থানায় বিএনএস, আইটিপি আইন ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ডিসিপি (কেন্দ্রীয়) হর্ষ বর্ধন বলেন, "উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই কিশোরী কাজের খোঁজে দিল্লি এসেছিল। জোরপূর্বক তাকে যৌন ব্যবসায় নামানো হয়। তদন্ত চলাকালীন নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত অঞ্জলিকে গ্রেপ্তার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।"