পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অনুপ ঘোষাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। আজ দুপুর ১.৪৫ নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর। ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই সংগীত শিল্পী।
বিশিষ্ট এই শিল্পীর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় জানান, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার ড. অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। নজরুলগীতি ছাড়াও তিনি বাংলা, হিন্দি-সহ অন্যান্য ভাষার চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। বিশ্ববরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্রে তাঁর গাওয়া গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ‘সাগিনা মাহাতো’ চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে উত্তরপাড়ার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০১৩ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি অনুপ ঘোষালের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
গায়কের পাশাপাশি তিনি একজন সুরকার ছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’ তার গান আজও জনপ্রিয়। যদিও তিনি একজন প্রসিদ্ধ নজরুলগীতি শিল্পী, তবে আরও বিভিন্ন ধাঁচের গানও তাকে গাইতে শোনা গেছে। অনুপ ঘোষাল নজরুলের শ্যামা সঙ্গীতে কন্ঠ দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। তিনি তার সঙ্গীত পরিচালনার কাজ শুরু করেছিলেন ‘সগিনা মাহাতো” নামে একটি বাংলা ছবির মাধ্যমে। অনুপ ঘোষাল প্লেব্যাক গায়ক হিসাবে চলচ্চিত্রের প্রথম কাজ শুরু করেন মাত্র ১৯ বছর বয়সে।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে ‘হীরক রাজার দেশে’ গানে জাতীয় পুরস্কারের অর্জন করে। তিনি বিভিন্ন বাঙালি এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের ছাড়াও ভোজপুরি ও অসমের ভাষায়ও গান গেয়েছেন। ১৯৮৩ সালের একাধিক বিভাগে পুরস্কার প্রাপ্ত হিন্দি মাসুম চলচ্চিত্রে গান গেয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। নজরুলগীতি ছাড়াও তিনি বাংলা, হিন্দি-সহ অন্যান্য ভাষার চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।