পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঘোষণার ৪ বছর পর অবশেষে বাজারে এসেছে ইলন মাস্কের টেসলা কোম্পানির ‘সাইবারট্রাক’। টেক্সাসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইন নেটিজেনে আলোচিত উদ্ভট ডিজাইনের এই বৈদ্যুতিক গাড়িটির প্রথম চালানের ডেলিভারি দেওয়া শুরু হয়। এই গাড়িতে কিছু আশ্চর্যজনক জিনিস রয়েছে, কিছু বৈশিষ্ট্য যা সত্যিই দুর্দান্ত, যা ট্রাকপ্রেমী সবাই-ই পছন্দ করবে। সিঙ্গেল, ডুয়েল ও ট্রিপল মোটরের তিনটি সংস্করণে বাজারে ছাড়া হয়েছে গাড়িটি। সর্বনিম্ন ৬০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে সিঙ্গেল মোটরের সংস্করণটি কেনার জন্য। তবে মার্কেস ট্রিপল মোটরের সংস্করণটিকে ‘বিস্ট’ বলে আখ্যায়িত করেন।
কারণ ৮৪৫ অশ্বক্ষমতার (হর্সপাওয়ার) এই সংস্করণটির গতি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ৬০ মাইলে পৌঁছাতে মাত্র ২.৭ সেকেন্ড লাগে, যা সুপারকার ফেরারির থেকেও ০.২ সেকেন্ড কম! এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য সামনের মোটরচালিত ট্রাংক, পরিবর্তনযোগ্য চাকার এরোক্যাপ বা আবরণ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার, পরিবর্তনযোগ্য সাইডভিউ মিরর, ২০ ইঞ্চির চাকায় ৩৫ ইঞ্চি গুডইয়ার টায়ার, হ্যান্ডেলবিহীন টাচস্ক্রিন দরজা। গাড়িটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক যা ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে, তা এর ত্রিভুজাকৃতির ধারালো কোনার স্টেইনলেস স্টিল ডিজাইন, যেটি গতানুগতিক যেকোনো গাড়ি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
গাড়িটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর সম্মুখমুখী কাঁচ বা উইন্ডশিল্ড, যার আকার অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির এই ধরনের গাড়ির মধ্যে সর্বোচ্চ। তাই এটি চালককে আরো ভালো দৃষ্টিমান প্রদান করে। এছাড়া সাইবারট্রাকের আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর স্টিয়ারিং হুইল, যা উভয় দিকেই ১৮০ ডিগ্রির কম ঘোরে, যার দরুন চালক পুরো হাত না ঘুরিয়েই গাড়িটিকে ডানে বা বাঁয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।