পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিখ্যাত অভিনেতা দিলীপ কুমারই শুধু নন, এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুর রহমান আনতুলে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম এ পাঠান, শিল্পপতি ইসমাইল মার্চেন্ট, ইলাস্ট্রেটেড উইকলির প্রাক্তন সহ সম্পাদক ফাতিমা জাকারিয়া, সানডে টাইমস-এর ফরিদা নাইক, ক্রিকেটার সেলিম দুরানি-সহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তি।
প্রায় ১৫০ বছর আগে স্থাপিত মহারাষ্ট্রের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশে প্রথম মিড ডে মিল চালু করেছিল। অনেক পরিদর্শক এখানকার মিড ডে মিল নিয়ে খোঁজখবর করেছেন।
সেসময় দৈনিক টিফিনে দেওয়া হতো রুটি, কলা, ডিম-সহ পূর্ণ খাবার। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির আগেই এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে এগিয়ে এসেছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের বিখ্যাত ব্যারিস্টার বদরুদ্দিন তৈয়েবজি।
গরিব পরিবারের পড়ুয়াদের বিনা খরচে পড়ানোর ব্যবস্থা হয় এখানে আর ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক ও মূলধারার শিক্ষা দেওয়া শুরু করে অল্পদিনেই সুনাম অর্জন করে। পরে তৈরি হয় আলাদা ছাত্রী শাখা। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়েছে ৯৭টি শিক্ষাকেন্দ্র। রয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী। আঞ্জুমান ইসলামের অধীনে চালু রয়েছে ১৫টি নার্সারি স্কুল, ১৫টি প্রাইমারি স্কুল, ২০টি সেকেন্ডারি স্কুল, ১০টি জুনিয়র কলেজ, ৪টি পলিটেকনিক, ১৫টি ডিক্রি কলেজ, বৃত্তিমূলক কলেজ ১০টি আর রয়েছে এতিমখানা।
বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠান যেমন কেমব্রিজ-এর মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে আঞ্জুমান ইসলাম। দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেতাব পেয়েছে বহুবার। মহারাষ্ট্র সরকারও এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ধরনের মদদ দিতে এগিয়ে এসেছে।
আঞ্জুমান ইসলাম নাম দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান এখন সচারুভাবে চালু রেখেছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ফার্মেসি, নার্সিং, ক্যাটারিং ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ল’, বিজনেস অ্যাডমিনিসট্রেশন, হোম সাইন্স ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় স্যার সৈয়দ পুরস্কার দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
আঞ্জুমানের মূল মন্ত্র মৌলানা আবুল কারাম আজাদের সেই মহান উক্তি, ‘অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শেখানোর চেষ্টা হলে সমাজে বিপ্লব আসবেই।’ বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কম খরচে গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের জন্য অভিভাবকরা ভরসা করছেন আঞ্জুমানের উপরেই। উপদেষ্টাদের মধ্যে তৈয়েবজি পরিবারের সদস্য থাকলেও মহারাষ্ট্রের বহু বিশিষ্ট মানুষ এখন যুক্ত হয়েছেন এর পরিচালনায়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রয়েছেন ডা. জাহির কাজি। ৩ হাজার স্থায়ী কর্মচারী নিয়ে আঞ্জুমান আরও ছড়িয়ে পড়তে চাইছে।
মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় ও গোয়াতেও শাখা খুলতে চলেছে। নার্সারি থেকে পিএইচডি স্লোগান বাস্তবায়ন করতে চাইছে আঞ্জুমান ইসলাম।