বিশেষ প্রতিবেদন: গবেষকরা বহু অজানার খোঁজে প্রতিনিয়ত তাদের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক নাম না জানা দেশ, মহাদেশের খোঁজ সামনে আসছে বহু তথ্য নিয়ে। এই রকমই একটি মহাদেশের আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি গবেষকদের।
সেই ১৫ কোটি বছর আগে হারিয়ে যাওয়া নিখোঁজ সেই মহাদেশকে সামনে নিয়ে এলেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সেই মহাদেশে নাম ‘আরগোল্যান্ড’। কিন্তু কোথায় লুকিয়ে ছিল এতদিন এই ভূখণ্ড। যার খোঁজ ছিল না কারুর কাছে। নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেক্টট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভ সায়েন্স’-কে বিশদে সমস্ত খবর জানিয়েছেন।
ইউট্রেক্টট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ আর্থ সায়েন্স’ -র গবেষক এল্ডার অ্যাডভোকাট বলেন, ‘ আমরা বেশ খানিকটা নিশ্চিত ছিলাম অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশে কোথাও ওই ভূখণ্ডের হদিশ মিলতে পারে। সেই মতো এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সন্ধান করি।’
গবেষকদলের মতে, বহু কোটি বছর আগে যে ভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘আরগোল্যান্ড’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে গবেষকরা বোঝার চেষ্টা করেন, এখন ওই ভূখণ্ড কোথায় থাকতে পারে। সেই অনুযায়ী তারা গবেষণা শুরু করেন। অনুসন্ধানের সূত্র ধরে ইন্দোনেশিয়া এবং মায়ানমারে কিছু প্রাচীন ভূখণ্ডের বিচ্ছিন্ন অংশের সন্ধান পাওয়া যায়।
এল্ডার অ্যাডভোকাট বললেন, ‘ওই বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড থেকে গবেষকরা যখন আরগোল্যান্ডের কাল্পনিক চিত্র তৈরির চেষ্টা করলেন তখন কিন্তু কিছুই মেলেনি।’ এবার উল্টো দিক থেকে ভাবতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা অংশ থেকে ‘আরগোল্যান্ড’ সম্পর্কে নানা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে এটা বোঝার চেষ্টা করেন, কী ভাবে সে অস্ট্রেলিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর উত্তর দিকে এসেছিল। সে সূত্রেই প্রাচীন ভূখণ্ডের বিচ্ছিন্ন অংশ খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা শুরু করেন তাঁরা। দেখা যায়, প্রায় ২০ কোটি বছর আগেকার, ছোট কোনও মহাসাগরেরও চিহ্ন রয়েছে ওই ভূখণ্ডে। তাঁরা জানতে পারেন, টেকটনিক শক্তির ধাক্কায় হারিয়ে যাওয়া মহাদেশটি ভেঙে চুরে যায়। প্রথমে সেটি বাকি মহাদেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তার পর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ভেসে যায়।
এই হাইপোথিসিসের উপর ভিত্তি করে ইউট্রেক্টট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ধারণা, ‘আরগোল্যান্ড’ কখনওই হারিয়ে যায়নি। বরং ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থাতেও তার অস্তিত্ব রয়েছে। নির্দিষ্ট করে বললে, ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাংশের যে দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে, তার নিচে এই ছিন্নবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের অবস্থান। ইউট্রেক্টট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ ডুউই ভন হিনসবার্গেন ও এল্ডার অ্যাডভোকাট মিলে এই ভূখণ্ডের নাম রেখেছেন ‘আরগোপেলাগো’। তাঁদের আশা, এই গবেষণার মাধ্যমে তারা এই বিস্তৃত প্রায় ভূখণ্ডের আরও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। গবেষণা ভূখণ্ডের আবহাওয়া, জলবায়ু সম্পর্কে তাদের বুঝতে সাহায্য করবে। তাদের সেই যুগান্তকারি আবিষ্কার ইতিহাসের পাতায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রেকিং
- ১ লক্ষ ৬৪ হাজায় টাকায় কেনা যাবে কোহলির ব্যাট
- আমার স্ত্রীর চেয়েও তাড়াতাড়ি পিচের মুড বদল: ইরফান পাঠান
- ‘আমরা কি মানুষ না’ ইসরাইলি তাণ্ডবে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বৈরুতবাসীরা
- আগ্রাসন ছেড়ে যশস্বী রাহুলে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরল ভারত
- গবেষণা করে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হতে চান সাইনাজ ফারজানা কাজী
- পাকিস্তানকে হতাশ করে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পথে আইসিসি!
- নজিরের নাম বুমরাহ
- প্রয়াত ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ খ্যাত কবি অরুণ চক্রবর্তী
- ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ রাজ্য সরকারের, বাড়ল না ঈদের ছুটি
- বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের আসন বেড়ে ২২৬, বিজেপি কমে ৬৬
- ১ লক্ষ ৬৪ হাজায় টাকায় কেনা যাবে কোহলির ব্যাট
- ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নয়া রণকৌশল