পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবসে এই বীর শহিদকে শ্রদ্ধা জানালের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ট্যুইটে রাজ্যপাল বলেছেন’ ১৮ বছরের ৮ মাস বয়সের ক্ষুদিরামকে ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ফাঁসি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। তখন তরুণ ক্ষুদিরামের হাতে ছিল গীতা। ক্ষুদিরামের সেই আত্ম বলিদান গোটা দেশকে তীব্রভাবে উজ্জীবিত করেছিল। এত বছর পরেও ক্ষুদিরামের জীবন যেকোনও পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে আমাদের উদ্ধুদ্ধ করে।’
পাশাপাশি বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মৃতুদিনে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রমাণ’। সেই সঙ্গে রয়েছে সেই অমর গান যা ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বাঙালি মননের সঙ্গে- ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী’।
১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মেদিনীপুর জেলার মোহবনী গ্রামে ক্ষুদিরাম বসু। জন্মের পরই ছেলে মারা যাবে এই অন্ধবিশ্বাসে তার মা তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মাসীর কাছে। সেই থেকেই তার নাম হয় ক্ষুদিরাম।
দেশকে স্বাধীন করার আন্দোলনে তখন সারা দেশ ভারত উত্তাল। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্ষুদিরাম। প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত গাড়ি চিনতে ভুল হয়। পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। ক্ষুদিরামের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যার। প্রফুল্ল চাকী আত্মহত্যা করলেও ক্ষুদিরাম গ্রেফতার হয়েছিলেন।
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট জেলের ভিতরে ১৫ ফুট উঁচু ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এই বীর তরুণকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।