পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইন্তেকাল করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তবাসসুম গোভিল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮ নভেম্বর শুক্রবার ইন্তেকাল হয় তাঁর।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান’ এর সঞ্চালিকার ভূমিকায় তবাসসুমের চেহারা আজও সকলের মনে আছে। ২১ নভেম্বর সান্তাক্রুজের আর্য সমাজে তাবাসসুমের স্মরণে একটি প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
তবাসসুমের পুত্র হোশাং গোভিল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন তার মা। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সম্প্রতি একটি শোয়ের জন্য শ্যুটিং করছিলেন, আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শ্যুটিং হওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার রাত ৮.৪০ নাগাদ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হঠাৎ করেই সব ঘটনা ঘটে গেল।’
উল্লেখ্য, তবাসসুমা গোভিল আগে কিরণ বালা সচদেব নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবাসসুমের বাবা অযোধ্যানাথ সচদেব ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, মা আসগরী বেগম ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, সাংবাদিক ও লেখক। তার বাবা তার মায়ের ধর্মীয় অনুভূতির কথা মাথায় রেখে তার নাম রাখেন তাবাসসুম, আর তার মা তার বাবার ধর্মীয় অনুভূতির কথা মাথায় রেখে তার নাম রাখেন কিরণ বালা। তবাসসুম টেলিভিশন অভিনেতা অরুণ গোভিলের দাদা বিজয় গোভিলকে বিয়ে করেন।
শিশু অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৪৭ সাল থেকে তার অভিনয় জগতের হাতেখড়ি। এর পর টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় সঞ্চালিকা হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নেন। জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান’, এ তাকে প্রথম সঞ্চালিকার ভূমিকায় দেখা যায়। ১৯৭২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানটি দূরদর্শনের পর্দায় সম্প্রচারিত হয়। তিনি হিন্দি সিনেমার স্বর্ণযুগ বিষয়ক এক শো—’অভি তো তো মৈ জওয়ান হুঁ’ অনুষ্ঠানটিও হোস্ট করেছিলেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে ছিল বিজয় ভাট পরিচালিত ‘বৈজু বাওরা’। এছাড়াও আরও বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।