পুবের কলম প্রতিবেদক: ক্রমেই বাড়ছে পেট্রোপণ্যের দাম। স্বাভাবিকভাবেই যানবাহনের ভাড়ার উপর প্রভাব পড়ছে। নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এরই বিকল্প হিসাবে সিএনজি–চালিত পরিবেশবান্ধব বাস চালু হল শহর কলকাতায়। এবার ডিজেল–চালিত বাস প্রথমবারের মতো চলবে সিএনজিতে। সোমবার কসবা পরিবহণ ভবনে সিএনজি–চালিত বাসের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য–প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এদিন দুপুরে কসবার পরিবহণ ভবন থেকে নিজেই সিএনজি বাস চালিয়ে রুবি মোড় পর্যন্ত বাস ঘুরিয়ে আনেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দফতর সূত্রে খবর, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে কলকাতায় দুটি সিএনজি–চালিত বাস দুই মাসের জন্যে চালানো হবে। এই পরীক্ষা সফল হলে ৭০০ সরকারি বাসকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ডিজেল থেকে সিএনজিতে রুপান্তরিত করা হবে।
এদিন সিএনজি বাসের সূচনার সময় পরিবহণমন্ত্রী বলেন, যে পরিমাণে তেলের দাম বেড়েছে তাতে পেট্রোল–ডিজেলের দাম মিটিয়ে বাস চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই এই চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাসের ভাড়া কমবে এবং যাত্রীদের সমস্যা মিটবে। আগামী ২ মাস রাস্তায় নামানো হবে বাস দুটিকে। যদি ভালোভাবে চলে তাহলে ডিজেল ইঞ্জিনের সব বাসকে সিএনজি বাসে কনভার্ট করার চিন্তা ভাবনা করবে রাজ্য সরকার।’
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, এখন কলকাতাতেই সিএনজি বাস চালু হল। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎচালিত এবং সিএনজি চালিত বাসের সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে বাস চালানোর খরচও কমবে, পরিবেশ থাকবে দূষণমুক্ত।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই সিএনজিতে বাস চালানো নিয়ে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে রাজ্যের তরফে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও হয়। সে সময় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কলকাতা পুরনিগম ও সংলগ্ন এলাকার বাস ডিপোগুলিতে সিএনজি সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। সেই চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মাথায় চালু হল সিএনজি বাস। জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই শহরে চালু হবে ইলেক্ট্রিক বাস। গঙ্গাবক্ষেও ইলেক্ট্রিক ভেসেল ও কলকাতার নতুন রুটে ইলেক্ট্রিক অটো চালানোর পরিকল্পনা করছে পরিবহণ দফতর।