পুবের কলম প্রতিবেদক: বিশেষজ্ঞদের মতে ছ’সপ্তাহের পর করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অদৃশ্য সংক্রমণের ‘থার্ড ওয়েভ’-এর ইঙ্গিত পেয়েই তৎপর হচ্ছে বিধাননগর পুর প্রশাসন। আশঙ্কিত কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে পুর বাজার কমিটি গুলিকে ডেকে সতর্ক করল নিগম কর্তারা।
পুর প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এই তৎপরতা। কারণ একটা সময়ে বাজারগুলি করোনা সংক্রমণের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছিল।এবারে তারই প্রভাব যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করতে আগেভাগে বাজার কমিটিগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, বাজার গুলিতে নিয়মিত নজরদারিরও উদ্যোগ নিল পুরনিগম কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার নারায়ণপুর রবীন্দ্র সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধাননগর পুর নিগমের আটঘরা, সলুয়া, কৈখালী, নারায়ণপুর, বেড়াবেড়ি-সহ এলাকার সমস্ত বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে পুর কর্তৃপক্ষ। এরই আগে সল্টলেক ও বাগুইআটি এলাকার বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে একই বৈঠক করেন পুর কর্তারা।
মঙ্গলবার রাজারহাট অংশের এই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক ও পুর প্রশাসন বোর্ডের সদস্য তাপস চ্যাটার্জি। তিনি জানান, বৈঠকে বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতন করে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন, বিধাননগর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী, পুর কমিশনার দেবাশিস ঘোষ, বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ কর্তারা।
কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে বাজারগুলিতে নজরদারি চালানো হবে। সেই সঙ্গে, ব্যবসায়ীদের ভ্যাকসিন প্রদানের কাজও চলবে। তবে, বাজার করতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাজারগুলিতে সঠিক নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, তারই নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা আচমকাই বাজার গুলিতে টহলদারি চালাবেন।
এই টহলদারিতে সরকারি কোভিড নির্দেশিকা অমান্যকারী ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা পুলিশি শাস্তির কবলেও পড়তে পারেন।
উল্লেখিত, পুরনিগম এলাকার সমস্ত বাজার ব্যবসায়ীদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও টিকা পাননি তাদের দ্রুত ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত করা হবে বলে পুরনিগম সূত্রে খবর।