আসিফ রেজা আনসারী
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস রমযান। এই মাসে সারাদিন রোযা রাখার পর মাগরিব বা সন্ধ্যার সময় সামান্য ফলযোগে ইফতার করাই দস্তুর। যাঁদের যেমন সামর্থ্য– তার মধ্য থেকেই সাধ্যমত চেষ্টা করেন কিছু ফলমূল– সরবত দিয়ে ইফতার করার। কিন্তু রোযার প্রথম দিনেই ফল-বাজারে আগুন। সাধারণ শাক-সবজির পাশাপাশি ফলমূলে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। এ দিন কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখেন প্রতিবেদক। তাতেই উঠে এসেছে আকাশছোঁয়া বাজারদর। একপ্রকার অগত্যা হয়েই ফলমূল কিনছেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ প্রশ্নও তুলছেন- বাজারদর দেখার জন্য সরকারের টাস্ক ফোর্স আছে– কিন্তু রোযার মাসে নজরদারি কই? সকলেই চাইছেন- পুলিশ-প্রশাসন যাতে নজরদারি করে। না হলে সাধারণের সাধ্যের বাইরে থাকবে বাজারদর।
এ দিন পার্ক সার্কাস– শিয়ালদহ ইত্যাদি এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা হয়। সব বাজারেই জিনিসপত্রের দাম প্রায় একইরকম। গত শুক্রবার বা শনিবার যেসব জিনিসের দাম বিশেষ করে ফলমূলের দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা– রবিবার তা দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। শশা– কলা– আপেল– অঙুর– ন্যাসপাতি– তরমুজ– সবেদা– খেজুর ইত্যাদির দাম বেশ চড়া।
পার্ক সার্কাসের ধাঁঙড় বাজারে দেখা গিয়েছে আগে যেখানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে এক কেজি পেঁপে পাওয়া যেত– এখন তার দাম হয়েছে ৮০ টাকা। আমের দাম বর্তমানে ৩০০ টাকা কেজি। মাত্র কয়েকদিন আগেই তা ছিল ২৫০টাকা। আগে ১০ টাকায় ৩ পিস কলা পাওয়া যেত– সেই সিঙ্গাপুরি কলার দাম এখন ২০ টাকা। আরেকটু বড় কিংবা মোটা সাইজের কলার দাম ২ পিস ২০ টাকা। সাধারণ তরমুজের দাম ৩৫ টাকা কেজি। খেজুর প্রতি একশো গ্রামে ১০ টাকা– মানে ১০০ টাকা কিলো। ভালো কোয়ালিটির খেজুর ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা কিলো। আপেলের দাম ১৫০ টাকা শুরু করে ৩০০ টাকা কেজি। সবেদা বিক্রি হচ্ছে প্রতিপিস ১০ টাকা। একটা পাতিলেবু বড় সাইজের ১০ টাকা– আগে একটা লেবুর দাম ছিল ৩-৪ টাকা। আগে শসা কেজি প্রতি ছিল ৩৫-৪০ টাকা– রবিবার তার দাম ধরা হচ্ছে ৬০ টাকা। একইভাবে মোসাম্বি লেবু– চিনি– তেল ইত্যাদির দাম আকাশ ছোঁয়া। পরিত্রাণ কোথায়? জানে না কেউ!