পুবের কলম প্রতিবেদক: শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এই অতি গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। উত্তরমুখী এই অতি গভীর নিম্নচাপ আগামী ১২ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগ স্পর্শ করতে পারে। সেই সময়ে ঝড়ের গতিবেগ ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। মায়ানমারে স্থলভাগের ভেতর দিয়েই দক্ষিণ বাংলাদেশ পৌঁছতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে সেই সময়ের প্রভাব কমে ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। মঙ্গল ও বুধবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে থাকায় রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এই কদিন বাড়বে অস্বস্তি। ৩৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে তাপমাত্রা। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ। ২২ মার্চ মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। আগামী চার পাঁচ দিনে দিনের বেলার গরম বাড়বে। সকালে ও সন্ধ্যায় শীতের আমেজ আর থাকবে না।
অন্যদিকে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় সংলগ্ন রাজ্য জম্মু কাশ্মীর, মুজাফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। বুধবার থেকে শুক্রবার এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। আগামী পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত এর সম্ভাবনা রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু,, পন্ডিচেরি, করাইকাল, অন্ধপ্রদেশের উপকূল অংশ এবং কর্ণাটক ও রায়েলসীমাতে। মঙ্গলবার থেকে আগামী পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।
অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।