পুবের কলম প্রতিবেদক: শনিবার বামফ্রন্ট বৈঠকের মধ্যে দিয়ে সিপিআইএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হিসেবে অভিষেক হল মহম্মদ সেলিমের। উপনির্বাচনের রণকৌশল স্থির সঙ্গে ২৮ ও ২৯ মার্চ সারা ভারত ধর্মঘট, এই দুই বিষয়ে বৈঠক হয় এদিন। রাজ্য কমিটি থেকে বিমান বসু স্বেচ্ছায় সরলেও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনিই শনিবার বৈঠকের পৌরহিত্য করেন।
শনিবারের বৈঠকের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মহম্মদ সেলিম লেখেন, ‘’নাগপুরের ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া কিছু শব্দবন্ধকে সমাজে ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্ক, বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর মতো শধকে চাপিয়ে মানুষকে ভাবাতে চাওয়া হচ্ছে সেই খাতে।’’
বিধনাসভায় ভরাডুবির পর এই কঠিন সময়ে দলকে টেনে তোলার গুরুভার পড়েছে মহম্মদ সেলিমের কাঁধে। সম্প্রতি পুরনির্বাচনে লালের আভাস দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। জোট ছাড়াই এসেছে এই সাফল্য। এবার সেলিমের দায়িত্ব দলকে মাঠে নামানো।
এদিকে মহম্মদ সেলিমের এই দায়িত্বগ্রহণের দিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘’সবই বোঝা যাচ্ছে। সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে সিপিএম আর তৃণমূল তো মারামারি করছে এখন। বিজেপি এর মধ্যে নেই। আমরা ভোটারকে ভোটার হিসাবেই দেখি। হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে দেখি। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাস করি।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুকান্ত মজুমদারের সংখ্যালঘু মুখ শধের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলকেই হাতিয়ার করেছেন সেলিম।