উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন : সামনে পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় সুন্দরবনের নদী বাঁধ ভেঙে বিপত্তি। নদীর নোনা জলে প্লাবিত একাধিক গ্রাম।আর এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকা বাসীরা।কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত ৮ নম্বর তিলক চন্দ্রপুর এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর নদী বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত গোটা গ্রাম আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া ৫০ টি পরিবার। জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে ৫০টি বাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে মুড়িগঙ্গা নদীর প্রায় ১০ ফুটের ও বেশি নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল জোয়ারের জলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধ মেরামত করা হলেও এবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং নিম্ন চাপের জোড়া ফলায় পুনরায় দশ ফুটের মতন নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে এলাকার প্লাবিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতবার নদী বাঁধে ভাঙনের কারণে, এলাকা ছেড়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিল এলাকার মানুষরা যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় আবার তারা ওই এলাকায় বসবাস শুরু করে ছিল। কিন্তু আবারো পুনরায় মুড়িগঙ্গা নদীতে পূর্ণিমার ভরা কোটালের ও নিম্নচাপে জোড়া ফলায় জোয়ারের জলে নদী ভাঙনের কারণে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজনেরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ঊষা দাস বলেন, এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ না থাকার কারণে বারবার নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে যায় আমাদের এই এলাকা। বিষয়টি নিয়ে বারবার বিভিন্ন দপ্তরেও জানালে ও কোনরকম সুরাহা হয়নি ।
আমরাই ইতিমধ্যেই আতঙ্কে রয়েছি, আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নদীতে জোয়ারের কারনে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। নদীতে ভাটার পড়ে গেলে আবারো পুনরায় জল নেমে যাবে এলাকা থেকে। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার কথা আমরা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি খুব শীঘ্রই সাধারণ মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে এই আশা করছি।বিষয় টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বংকিম চন্দ্র হাজরা।