পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামী জম্মু ও কাশ্মীর(জেল) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ‘প্রক্সি’ প্রার্থীদের সমর্থন করে রাজনৈতিক ময়দানে ফেরার চেষ্টায় আছে । সূত্রের খবর, কাশ্মীরে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভিতরে ভিতরে জনসমর্থন তৈরির কাজ করছিল জামায়াতে ইসলামী জম্মু ও কাশ্মীব । কারা তাদের প্রতি নরম মনোভাব পোষন করে সেদিকেও নজর রাখছিল তারা। উপত্যকার কোন কোন নির্বাচনী ক্ষেত্রে তাদের ভোটার রয়েছে তাও দেখেছে জামায়াতে ইসলামী।
এক জামায়াত নেতা দোকান হেরাল্ডকে জানান, কাশ্মীরের কমপক্ষে ১০-১২ টি কেন্দ্রে তারা প্রক্সি প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। যেহেতু আমরা জামায়াতের ব্যানারে লড়তে পারবো না, তাই প্রক্সি প্রার্থী দাঁড় করানো করা আমাদের হাতে উপায় নেই। আসলে আমরা চাইছি বিধানসভায় আমাদের প্রতিনিধি থাকুক। যারা আমাদের আদর্শ মোতাবেক কাজ করবে। সেক্ষেত্রে জামায়াত মনস্ক নির্দল প্রার্থীদের আমার পিছন থেকে সমর্থন করতে পারি। আমরা যা করবে আইন মেনে। আমরা গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধ প্রদর্শনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহার ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে সংগঠনটিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী জম্মু ও কাশ্মীর-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মোদী সরকার। আগেও জামায়াত জানিয়েছিল কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা ভোটে লড়তে প্রস্তুত। জামায়াতে ইসলামী জম্মু ও কাশ্মীর প্রধান গুলাম কাদির ওয়ানি আগেই সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলেন,‘‘এ বছর সেপ্টেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন কাশ্মীরে। আমরা তাতে অংশ নিতে চাই। আমরা চিরকালই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কেন্দ্র যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, আমরা প্রার্থী দেব।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ঢুকতে গেলে আমাদের প্রথম যেটা প্রয়োজন, তা হল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।’’ ১৯৮৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। গত লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য বহু জামায়াত নেতা ভোট দেন। তখনই অনেকে ভেবেছিল জামায়াত হয়তো কাশ্মীরের রাজনৈতিক ময়দানে ফিরছে। সরকারি কর্মীদের আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ) করার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। তখনই অনেকে প্রশ্ন করেছিল তাহলে কাশ্মীরের জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ভাল রাখার কি কোনো যুক্তিসংগত কারণ আছে ?