পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত কলকাতা থেকে হাওড়ার রাজপথ। দফায় দফায় চলছে জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠি চার্জ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। ধুন্ধুমার বড় বাজার, হাওড়া ময়দান এবং কলেজস্ট্রিট এলাকায় রণক্ষেত্রের ছবি।
মূল মিছিল তাঁর মধ্যেই কলেজ স্ট্রিট থেকে হেস্টিংস পর্যন্ত যাচ্ছে। বড় বাজারে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে টানা জলকামান ছুড়ে, এমনই জানায় পুলিশ। তবে হেস্টিংসে নতুন করে বাড়ে ক্ষোভের আঁচ। তবে জলকামান থেকে টিয়ার গ্যাসের সামনেও অনড় আন্দোলনকারিরা।
উত্তপ্ত সাঁতরাগাছি। পুলিশের লাঠি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মহিলা দল। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা পুলিশের। তার পরেও থামানো যায়নি বিক্ষোভ। ব্যারিকেড টেনে ভেঙে ফেলা হয় হাওড়া ময়দানে।
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিশ ও র্যাফ লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশ ও র্যাফ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায়। এরপর আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে পড়ে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের হটাতে জলকামান চার্জ করলো পুলিশ।
ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই বসেই স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু সাময়িক ক্ষান্ত দেওয়ার পরেই ফের ফুসে ওঠেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে আক্রমণ করেন তাঁরা। জনতার মাঝে পড়ে আহত পুলিশকর্মী। ৩ কর্মী আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে তাঁরা আহত হয়েছেন বলে খবর।
হাওড়ার ফোরশোর রোডের রামকৃষ্ণপুরের কাছে টিয়ার গ্যাস চার্জ করা হলো। আন্দোলনকারীদের উপরে জল কামান ব্যবহার করল পুলিশ।
হাওড়া ময়দানের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের এলোপাথাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছুঁড়লো। পুলিশের লাঠি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হল।
আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হলেন চন্ডীতলা থানার আইসি শৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাওড়া ময়দানেও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ও র্যাফও পাল্টা জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। লাঠিচার্জও করা হয়।
আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলির উপরে দেওয়া হয়েছিল গ্রিজ এবং মোবিলের পরত। আন্দোলনকারীদের আটকাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেনের মাধ্যমে কন্টেনার নামিয়েছে পুলিশ।
কলেজ স্ট্রিট এবং এজেসি বোস রোডে ইতিমধ্যেই কন্টেনার নামানো হয়েছে। কন্টেনারের সামনে রাখা হয়েছে ক্রেনটিকেও।