লখনউ, ২৮ আগস্টঃ নাম বদলের ট্র্যাডিশন অব্যাহত উত্তরপ্রদেশে। যোগী আদিত্যনাথের ভালো ‘নামডাক’ আছে এ ব্যাপারে। ইলাহাবাদের নাম বদলিয়ে প্রয়াগরাজ, মুঘলসরাইকে দিনদয়াল উপাধ্যায় করে যে মুসলিম নাম মুছে দেবার সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, তার সূচনা তো যোগীজির হাত ধরেই। এবার তার রাজ্যে রাতারাতি ৮ রেল স্টেশনের নাম বদলে গেল।
অতি সম্প্রতি বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে যে স্টেশনগুলির নাম বদল করা হয়েছে তার বেশিরভাগই মুসলমানদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কট্টর হিন্দুত্ব নীতির জেরেই এ পদক্ষেপ। পরিষেবার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে রেলের এই নাম বদল নীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, স্টেশনের নাম পরিবর্তন করার পরিবর্তে বিজেপি সরকারের উচিত স্টেশনগুলির অবস্থার উন্নতি এবং ট্রেন দুর্ঘটনা আটকানোর উপর মনোযোগ দেওয়া। গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ ট্রেনে উঠতেই ভয় পাচ্ছে!
মঙ্গলবার উত্তর রেলের লখনউ রেলওয়ে বিভাগের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮টি রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। কাসিমপুর হল্ট স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে জয়স সিটি, জয়স রেল স্টেশন হয়েছে গুরু গোরক্ষনাথ ধাম, মিসরৌলি হয়েছে মা কালিকান ধাম, বাণী স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে স্বামী পরমহংস, নিহালগড় বদলে হয়েছে মহারাজা বিজলি পাসি, আকবরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে মা অহর্ব ভবানী ধাম, ওয়ারিশগঞ্জ হল্টের নাম বদলে রাখা হয়েছে অমর শহিদ ভালে সুলতান।
ফুরসাতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে তপেশ্বরনাথ ধাম। অবশ্য বিজেপি জমানায় নাম বদলের রাজনীতি এই প্রথমবার নয়, এর আগে একাধিকবার বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, জায়গা ও শহরের নাম বদল হয়েছে। দিল্লিতেও কয়েকটি রাস্তার নাম বদল হয়েছে। তবে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, এনডিএ শাসিত মহারাষ্ট্রেও বদলে ফেলা হচ্ছে একাধিক স্টেশনের নাম।
এনিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিবসেনা এমপি রাহুল শহওয়ালে। তার দাবি ছিল, ব্রিটিশ জমানার ওইসব নাম বদলে ফেলা উচিত। যে স্টেশনের নাম বদলের আবেদন জানানো হয় সেগুলি হল, ক্যারি রোড, স্যান্ডহাস্ট রোড, কটন রোড, ডকইয়ার্ড রোড ও কিংস সার্কেল রোডের নাম বদলে ফেলতে হবে।