লখনউ, ১ সেপ্টেম্বর: সম্পর্কের বীভৎসতা! বিশ্বাসের হত্যা! ‘সুন্দর’ প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি নেমে এল পাশবিকতায়। সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ। হবু স্ত্রীকে ডেকে এনে তিনজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যৌন উদ্দামতায় মাতল হবু স্বামী। পাশবিক নির্যাতনের ছবি এঁকে দিল হবু স্ত্রীর শরীরে। গাজিয়াবাদের কবিনগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে, মূল অভিযুক্ত সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ আগস্ট। ধর্ষিতা জানিয়েছেন, তাকে ফোন করে ডেকে পাঠায় তার বাগদত্তা আশু চৌধুরী। এরপর তাকে জোর করে হৃষিকেশ নিয়ে যায় সে। গত ২১ আগস্ট তারা দুজনে সেখানে একটি হোটেলে ওঠে। সেখানে তার উপর অকথ্য অত্যাচারের সব সীমা অতিক্রম করে যায়। মারধর করে তাকে ধর্ষণ করে আশু। তার একাধিক স্থানে দাঁতের কামড় দিয়ে শরীর ক্ষত বিক্ষত করে দেয় বাগদত্তা আশু। হৃষিকেশ থেকে গত ২২ আগস্ট ফেরে দুজনে। আশু তার তিন বন্ধু আদিত্য কাপুর, যশ আওজল ও মুস্তাফাকে ডেকে পাঠায়। এর পর তারা সকলে মিলে ওই তরুণীর যৌন হেনস্থা করে। ওই রাতে, অভিযুক্তরা নির্যাতিতাকে গাজিয়াবাদের পঞ্চশীল সোসাইটির কাছে রেখে পালিয়ে যায়। এক পথচারীর সাহায্যে নির্যাতিতা তার পরিবারকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। তার পরিবার তড়িঘড়ি কবিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। নির্যাতিতা থানায় সমস্ত ঘটনা জানান।
ডিসিপি রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, তরুণী তার বাগদত্তা আশু চৌধুরী তাকে জোর করে হৃষিকেশের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পাশবিক নির্যাতন চালায়। এর পর আশু তার তিন বন্ধুকে ডেকে পাঠায় তারাও ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করেছে। সেখানে যোগ দেয় আশু।
গোটা ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার বাকরুদ্ধ। তাদের ধারণা ছিল না যে বাগদত্তা এমন জঘন্য অপরাধ করতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।