আসিফ রেজা আনসারীঃ করোনা রুখতে স্বাস্থ্যবিধি বলতে সামাজিক দূরত্ব মানা– মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা– একইসঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা। তবে সমাজের একাংশে একটা ধারণা মাথাচাড়া দিচ্ছে যে– মাস্ক পরলে শরীরে দানা বাঁধতে পারে অসুখ। সত্যিই কী তাই? নাকি অন্য কিছু। এটাই জানতে চাইল এক ব্যক্তি। কলকাতার এক সমাজকর্মী সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনে দুটি আরটিআই করেছেন।
বৃহস্পতিবার সমাজকর্মী প্রানোজিৎ দে ‘পুবের কলম’ প্রতিবেদককে জানান– আইসিএমআর-এর কাছে জানতে চাইলাম- মাস্ক পরলে এবং লকডাউন করলে করোনা কমে তার বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ থাকলে তা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, মাস্ক নিয়েও অনেক কথা উঠছে। মাস্ক পরে থাকলে কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে– কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড করোনা ঠেকাতে সক্ষম সেই সংক্রান্ত কি কি ট্রায়াল হয়েছে জানানোর কথা বলেছি। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা না সেগুলিকে আদৌ ভ্যাকসিন বলা যায় কিনা জানতে চেয়েছেন প্রানোজিৎ দে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও দু’টি আরটিআই করেছেন আবেদনকারী। বৃহস্পতিবার করা আরটিআইয়ে কলকাতার ওই সমাজকর্মী জানতে চেয়েছেন– করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরও কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত কতজনের ভ্যাকসিনেশন ডবল ডোজ হয়েছে– ২০১৮ সালে ভারতে কতগুলি অক্সিজেন প্লান্ট ছিল এবং ২০২২-এ তার পরিমাণ কত জানতে চেয়েছেন প্রানোজিৎ দে। তাঁর আরও প্রশ্ন– করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ তৈরিতে কত টাকা খরচ হয়– ভারত সরকারই বা কত টাকায় কিনেছে– ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ও ভারত সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তির কপির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও প্রশ্ন এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে হওয়া ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভে মোট কত টাকা খরচ হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রানোজিৎ দে বলেন– করোনার নাম করে মানুষকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে। আমার জানা মতে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই যাতে বলা হয়েছে মাস্ক পরলে করোনা রোখা যাবে। তাহলে কেন সাধারণ গরিব মানুষকে মাস্ক না পরার জন্য জরিমানা করা হচ্ছে, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও করোনা হচ্ছে– তাহলে এর কাজ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন– কেন্দ্রের উত্তর সন্তোষজনক না হলে আদালতে মামলা করতে চাই।