পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দুর্ঘটনায় প্রাণ খোয়ালেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখিকা ঝিমলি মুখোপাধ্যায় পাণ্ডে। বুধবার বিকেলে রাজস্থানের জয়শলমেরে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪৯ বছরের এই সাংবাদিক তথা লেখিকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ঝিমলিদেবী পুত্র ও তাঁর মা ও গাড়ির চালকের। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছেন তাঁর স্বামী।
দু’দিন আগেই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে জয়শলমের বেড়াতে যান ঝিমলি মুখোপাধ্যায় পাণ্ডে। বুধবার জয়শলমের থেকে যোধপুরে ফেরার সময় এই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে তাদের গাড়ি। জয়শলমের থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ওয়ার মিউজিয়ামের কাছে বিকেল ৪ টে নাগাদ দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। অপর গাড়িটি যোধপুর থেকে জয়শলমেরের দিকে আসছিল। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ঝিমলি মুখোপাধ্যায়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ঝিমলিদেবীর ছেলে বৈভব পাণ্ডে, মা বুলবুল মুখোপাধ্যায়, চালক ধ্রুবনীল। উল্টোদিক থেকে আসা গাড়িটিতে থাকা যাত্রীরাও আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জয়শলমেরের জওয়াহির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ঝিমলিদেবীর ছেলে, মা ও গাড়ির চালকের। ঝিমলি মুখোপাধ্যায়ের স্বামী দীনেশ পাণ্ডে ভাগ্যের জোরে রক্ষা পেয়ছেন। ছেলে বৈভব পাণ্ডের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যোধপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কলকাতায় জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা লেখিকা ঝিমলি মুখোপাধ্যায়ের। দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে তিনি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই লেখার পারদর্শী ছিলেন।
শিশুদের জন্য ৮ টি বাংলা উপন্যাস এবং প্রায় ২৫টি ছোট গল্প লিখেছেন ঝিমলি মুখোপাধ্যায়। তিনি ইংরেজিতে লেখেন ‘দা গোস্ট অব গোসাই বাগান’। এটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাংলা উপন্যাস, গোঁসাই বাগানের ভূত অবলম্বনে রচিত। নারায়ণ দেবনাথের অনেক ক্লাসিক কৌতুক ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। শশী থারুরের জনপ্রিয় উপন্যাস, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেলের বাংলা অনুবাদ আবার মহাভারত নামে লিখেছেন।