পুবের কলম প্রতিবেদকঃ করোনার পাশাপাশি ওমিক্রন সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার এক বৈঠকের পর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে– করোনার পাশাপাশি ওমিক্রন আতঙ্ক বাড়ছে। মোকাবিলা করার জন্য আগাম প্রস্তুতি চলছে। সোমবার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আক্রান্ত সন্দেহে বা ওমিক্রন পজিটিভ রোগীর ক্ষেত্রে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র নোডাল হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই এই রোগের চিকিৎসা হবে।
তবে যদি কেউ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হতে না চান, তাদের ক্ষেত্রে কলকাতার সাতটি বেসরকারি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেও তাঁরা ভর্তি হতে পারবেন এই বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে আমরি, অ্যাপোলো, উডল্যান্ড, বেলভিউ– সিএমআরআই, ফর্টিস এবং চার্নক হাসপাতাল।
চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রোগীকে আইসোলেশন এ থাকতে হবে। যত দিন না তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। ওমিক্রন পজেটিভ রোগীকে সম্পূর্ণ আইসোলেশনে থাকতে হবে। অন্য করোনা রোগীদের থেকেও আলাদা রাখা হবে তাঁকে। হাসপাতালগুলোতে তিন ধরনের আইসোলেশন রাখতে হবে। সাধারণ করোনা আক্রান্ত রোগী, ওমিক্রন সন্দেহভাজন, ওমিক্রন পজিটিভ রোগীদের জন্য।
পরপর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই ওমিক্রন নেগেটিভ ধরা হবে। তবে ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া পরের সাতদিন বাড়িতে আইসোলেশন-এ থাকতে হবে।
পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা এলাকা ও সল্টলেক এবং রাজারহাট নিউটাউন এলাকা বলা হয়েছে– এই এলাকাগুলিকে যে যে সমস্ত করোনা আক্রান্তের সিটি ভ্যালু ৩০-এর নীচে তাদের লালারসের নমুনা পাঠানো হবে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য।
এ ছাড়াও রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি করোনা পরীক্ষার ল্যাবকে বিদেশ থেকে আগত কোনও ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে বিস্তারিত উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে– করোনার মতো ওমিক্রনের জন্য ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ পদ্ধতিতে স্ট্রোক নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। স্ট্রোকের জন্য বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হচ্ছে হাব এবং আরও সাতটি হাসপাতালকে স্পোক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।