নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বঙ্গ বিজেপিতে ধূমকেতুর মতো উত্থান হয়েছিল তাঁর। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য সভাপতি পদে বদল ঘটার পরেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন সায়ন্তন বসু। বুধবার বঙ্গ বিজেপির নয়া মুখিয়া সুকান্ত মজুমদারের ঘোষিত পেল্লাই সাইজের রাজ্য কমিটিতে তাঁর জায়গাই হয়নি। আর তার পরেই ক্ষোভে অভিমানে দলের একাধিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সায়ন্তন। বাদ পড়ার পরে বুধবার রাতেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের এক বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়ক। আর তার পরেই দাবানলের মতো জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে নাম লেখাচ্ছেন দিলীপ ঘোষের বিশ্বস্ত সেনাপতি!
সেই জল্পনাকে জিইয়ে রেখে দল ছাড়া নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে রাজি হননি সায়ন্তন। তবে তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়কের হাজিরাকে সৌজন্য সাক্ষাৎকার হিসেবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘দুই ভিন মতাদর্শের দল করলেও যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই এসেছিলেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ খোঁজা অর্থহীন।’
তবে যেদিন দলের রাজ্য কমিটি থেকে সায়ন্তন বাদ পড়লেন, সেদিন তাঁর বাড়িতে প্রতিপক্ষ শিবিরের নেতাদের হাজির হওয়াকে শুধু কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শুধু সায়ন্তনই নন, রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে দিলীপ শিবিরের অনেক নেতাই ক্ষুব্ধ। বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ফলে রাজ্য বিজেপিতে ফের বড়সড় ভাঙন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।