শুভ্রজ্যোতি ঘোষ: রহিম সাহেবের পর ভারতীয় ফুটবল যাঁর হাত ধরে শৃঙ্খলা শিখেছিল তিনি সৈয়দ নঈমউদ্দিন। ভারত শুধু নয়– বাংলাদেশেও তাঁর কোচিং কেরিয়ারের খ্যাতি রয়েছে। সেই নঈমউদ্দিন রীতিমতো আর্মি ট্রেনিং করিয়েছেন একটা সময়। চুল বড় রাখা যাবে না– একেবারে ছেঁটে ফেলতে হবে– তবেই শৃঙ্খলাবোধ আসবে। এটাই ছিল তাঁর ধারনা। যেভাবে দল পরিচালনা করতেন– এখন কোথাও যেন সেই পরিচালনার অভাব বোধ করেন তিনি।
বুধবার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সম্বর্ধনায় এসে সেটাই ব্যক্ত করলেন ভারতীয় ফুটবলের দ্রোণাচার্য। কয়েকদিন আগে শোনা গিয়েছিল তাঁর শরীর খারাপ। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই মানতে রাজি নন তাঁর শরীর কোনওভাবেই খারাপ আছে। কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন– ‘আরে– আমি তো ঠিক আছি। কে এসব বলে জানি না। এইগুলোই খুব খারাপ লাগে।’
ভারতীয় ফুটবল যেভাবে এগোচ্ছে তা মোটেও পছন্দ নয় নঈম সাহেবের। আসলে ভারতীয় ফুটবলে বাঙালি ছেলেদের সংখ্যা প্রায় কমে যাওয়ায় ভীষণ বিরক্ত ভারতীয় ফুটবলের দ্রোণাচার্য। বলছেন– ‘এটা ভারতীয় ফুটবল’ একটা সময় ভারতীয় ফুটবলে বাংলার ছেলেদের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু এখন দেশের ফুটবলে বাংলার ছেলেরা কোথায়? যে দলে বাংলার ছেলেরা নেই সেই দল আবার কিসের দল? এমন ফুটবলের কোনও মানেই হয় না?
সেটা যে কতটা প্রাসঙ্গিক তা বলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের উল্লেখ করলেন নঈমউদ্দিন। বললেন– ‘ইস্টবেঙ্গলের খেলাটা দেখেছেন কি? এত জঘন্য খেলা কেউ খেলতে পারে? এটা বাংলার কোনও দল। একে তো বাঙালি কোনও প্লেয়ার নেই। কোচও বিদেশি। এমন বিদেশি কোচ দিয়ে কোন রাজকার্য উদ্ধার হচ্ছে শুনি?
বয়স বাড়ছে। কিন্তু দ্রোণাচার্যের মনের বয়স বাড়ছে না। তিনি বলছেন– ‘আমি একই আছি। এখনও আমি স্কুটার চড়েই ঘুরে বেড়াই।’ বর্তমান মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে নিয়ে বেশ আশাবাদি নঈমউদ্দিন। বললেন– ‘দলে অনেক বাঙালি ছেলে রয়েছে। দলটারও সম্ভাবনা রয়েছে অনেকটা।’ তাহলে কি আইলিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে মহামেডান? নঈমউদ্দিন বলছেন– ‘না পারার তো কিছু নেই। আমি তো আশাবাদি মহামেডান এবার আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হবে।’