পুবের কলম প্রতিবেদকঃ করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার স্কুলের সময় কমানো নিয়ে আলোচনা শুরু করল স্কুল শিক্ষা দফতর। শনিবার স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্কুলের সময় কমানো নিয়ে ডিআই ও প্রধানশিক্ষকদের পর্যালোচনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। এ দিকে স্কুলে দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে এক ক্লাসকে দু’টি বা তিনটি ব্যাচে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ আগে দু’টো সেকশন থাকলে– এখন অন্তত চারটে সেকশন! কিন্তু শিক্ষকসংখ্যা একই। ফলে বারবার একই ক্লাস নিতে হচ্ছে। সঙ্গে আবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনলাইন ক্লাস। এর সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির তালিকা তৈরি– মিড-ডে মিল দেওয়া– তার হিসাব রাখা। শনিবারও গোটা দিন ধরে ক্লাস। এতদিন পর স্কুল খুলেছে– ইচ্ছাশক্তির জোরেই চালিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুসারে কোভিডবিধির জন্য ২৫ পড়ুয়ার পিছু একটি ব্যাচ। বেশিরভাগ স্কুলে প্রতি ক্লাসে ন্যূনতম ২টি ব্যাচ। পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হলে কোনও কোনও স্কুলে ৩টি ব্যাচ। ফলে একই বিষয় অন্তত দ্বিগুণ সময় পড়াতে হচ্ছে। চলছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনলাইন ক্লাসও। অনলাইনে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক– খাতা দেখার কাজ। শিক্ষকদের ঢুকতে হচ্ছে সকাল ৯টার মধ্যে স্কুল ঢুকতে হচ্ছে– বেরোতে বেরোতে ৫টায়। সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টে নবম ও একাদশের ক্লাস। সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ৪টে দশম ও দ্বাদশের ক্লাস। সকাল ১১টার মধ্যে পড়ুয়াদের উপস্থিতির তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। মিড-ডে মিল বিতরণ– তার হিসেব রাখা।
শিক্ষক নেতা কালাম মণ্ডলের মতে স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কথা ভেবে সময় কমানো উচিত। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও করোনা পরিস্থিতি এখন কমেনি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিম্ন ক্লাসগুলি চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।