পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বিরল স্নায়ু রোগ গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অসুখ কোনও নতুন রোগ নয়। আগে থেকেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাছাড়া নতুন করে বাংলায় কেউ আক্রান্ত হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট উল্লেখ করে এও স্পষ্ট করা হয়েছে, ডিসেম্বরের শেষ থেকে আজ পর্যন্ত এ রাজ্যে জিবি সিনড্রোমে কেউ আক্রান্ত হননি।
জানা গেছে, স্নায়বিক রোগ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। দেশে মোট জিবিএস আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। পুণে-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় এই রোগে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের দুই শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হল।
উল্লেখ্য, জিবিএস এক বিরল স্নায়বিক অসুখ। সাধারণত এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় না। তবে আক্রান্তদের শরীরের নার্ভাস সিস্টেম ও ইমিউন সিস্টেমকে কার্যত নষ্ট হয়ে যায়। ক্যাম্পিলোবেক্টর জেজুনি ব্যাকটেরিয়ার কারণেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। জল বা খাবার থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে মানব শরীরে। তবে বিশ্বের নিরিখে অনেক কম মানুষের মধ্যেই এই রোগ দেখা যায়। সম্প্রতি কলকাতায় দুই শিশুর শরীরে এই রোগের উপসর্গ দেখা গেছে বলে জানা গেছে। এক শিশুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকায়। অন্যজন থাকে উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটি এলাকায়।
এই রোগে আক্রান্ত হলে সবার প্রথমে হাত-পা ঝিনঝিন করতে শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে হাত-পা অসাড় হতে থাকে। হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারেন না রোগী। হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। শরীরের ব্যালান্স হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে।
কারও ক্ষেত্রে আবার হাতের আঙুলের মাথাগুলি অসাড় হয়ে যায়। পায়ের পাতাও অবশ হয়ে যেতে শুরু করে। মুখমণ্ডলও অসাড় হতে থাকে, ফেসিয়াল প্যারালাইসিসও হয় রোগীর। শক্ত হয়ে যায় ঘাড়ে পেশি। মাথা নাড়ানোর ক্ষমতাও থাকে না। এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গও দেখা দেয়।