কিবরিয়া আনসারী: বিগত তিন বছর ধরে এমজিএনআরইজিএ তথা ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় বাংলার লক্ষাধিক শ্রমজীবী মানুষ অর্থসঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দুর্নীতির অভিযোগে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এমনকি রাজ্যের বকেয়া অর্থও দেয়নি কেন্দ্র। এর ফলে গ্রামীণ শ্রমিকরা কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও বঞ্চনা নিয়েই মোদি সরকারকে আক্রমণ শানাল একাধিক সামাজিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃত্বরা বললেন, কেন্দ্রের তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে অগণিত পরিবার বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। অনেকে চরম পদক্ষেপ নিয়ে আত্মহত্যাও করেছে। কেন্দ্র সরকার কি আদৌ এমজিএনআরইজিএ আইনটি বহাল রাখতে চাইছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনগুলি।
পশ্চিমবঙ্গ খেত মজুর সমিতির নেত্রী অনুরাধা তলোয়ার কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে অনেক তদন্ত করেছে, কিন্তু তারা শক্ত কোনও দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি। তাহলে কেনো ৩ বছর ধরে ৭৫ লক্ষ শ্রমিককের কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তাঁর আরও বক্তব্য, “যারা ১০০ দিনের কাজের উপর নির্ভরশীল, তারা কাজ না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। রাজ্যের শ্রমিকরা কাজ না পাওয়ার জন্য একমাত্র দায়ী বঙ্গ বিজেপি। কারণ, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে চাইলেও বঙ্গ বিজেপি তাতে বাঁধা দিচ্ছে। তাদের ঘৃণ্য রাজনীতির জন্য ৭৫ লক্ষ শ্রমিক বঞ্চিত হচ্ছে।”
Read More: ‘সীমান্তে বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না রাজ্য’ এই অভিযোগ ভিত্তিহীন: ফিরহাদ
খেত মজুর সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার গায়েন দাবি করেছেন, এ পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা থেকে কেন্দ্রীয় একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্রামীণ শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। গায়েন বলেন, “১০০ দিনের কাজে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের শাস্তি না দিয়ে, ভুক্তভোগী গ্রামীণ শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েই বাংলার গ্রামীণ শ্রমিকদের এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ নিক। পাশাপাশি রাজ্যের জন্য ১০০ দিনের কাজের তহবিল ছাড়ুক কেন্দ্র।”