নয়া দিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর: ‘লেডি মাউন্টব্যাটনকে লেখা নেহেরুর ঐতিহাসিক চিঠি ফেরত দিন’। রাহুল গান্ধিকে অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও পুস্তকালয়ের (পিএমএমএল)। একটি চিঠি লিখে পিএমএমএল সদস্য জানান, ১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়ালের তরফে তৎকালীন নেহেরু নামাঙ্কিত মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির নামে ঐতিহাসিক চিঠিগুলো অর্পণ করা হয়েছিল। যা বর্তমানে প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর পিএমএমএল -এর সদস্য রিজওয়াল কাদরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে চিঠি লেখেন। যেখানে সোনিয়া গান্ধির থেকে নেহেরুর লেখা ঐতিহাসিক চিঠিগুলি অথবা সেগুলির ফটো কপি অবিলম্বে ফেরত দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০০৮ সালে। দিল্লির মসনদে তখন ইউপিএ সরকার। ডঃ মনমোহন সিংয়ের জমানায় ৫১টি বাক্সে ভরে নেহেরুর এই সব ব্যক্তিগত চিঠি পাঠানো হয়েছিল সোনিয়া গান্ধির কাছে। দাবি, নেহেরু এই সব চিঠি লিখেছিলেন মাউন্টব্যাটেন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নাইডু, বিজয়া লক্ষ্মী পন্ডিত, অরুণা আসাফ আলি, বাবু জগজীবন রাম এবং গোবিন্দ বল্লভ পন্তের মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে।
প্রধানমন্ত্রীর মিউজিয়ামের অভিযোগ, যে চিঠিতে সরকারের অধিকার, তা এভাবে নিয়ে নেওয়া যায় না। যার জেরেই রাহুল গান্ধিকে চিঠি দিয়েছে পিএমএমএল। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রের তরফে এই একই অনুরোধ করা হয়েছিল সোনিয়াকে । রিজওয়ানের দাবি, তিনি ওই চিঠির জবাব দেননি। তাই রাহুলকে পুনরায় অনুরোধ করা হল।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। সম্বিত পাত্র বলেন, ‘ওখানে (নেহরুর চিঠির সংগ্রহে) নিশ্চয় এমন কিছু ছিল, যা ওঁদের (গান্ধি পরিবার) কাছে আপত্তিকর, সেই কারণেই সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
উক্ত ঘটনায় বিজেপিকে তির্যক বাক্যে আক্রমণ শানিয়েছেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে। তিনি বলেন, নেহেরুর চিঠি নিয়ে মিথ্যা রাজনীতি করছে বিজেপি। ইতিহাস ও সত্য ঘটনাকে বিকৃত করে পরিবেশনের চেষ্টা করছে। ১৯৫০ সালে সংবিধান সংশোধন সহ একাধিক ইস্যুতে তৎকালীন শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের চিঠি লিখেছিলেন নেহেরু। অথচ বিজেপির নেতারা ভুল ব্যাখ্যা করে গান্ধি পরিবারকে অপমান করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে।