পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বরাবরই নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন তিনি। নেতানিয়াহু ও তাঁর সরকারের কাজকে বর্বোরচিত বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে নিজের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছেন। এবার ভারতে অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাসের ইনচার্জ আবেদ এলরাজেগ আবু জাজেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। এদিন ফিলস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। একইভাবে ওয়েনাডে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার জন্যে প্রিয়াঙ্কাকে অভিনন্দন জানান আবেদ।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে শুভেচ্ছা জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। একইভাবে ভারত ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী সম্পর্ক এবং ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধেও আলাপ-আলচনা হয়।
পাশাপাশি নেতানিয়াহুর ‘বর্বরতার সঙ্গে সভ্যতার’ যুদ্ধের সমালোচনা করেন। বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। তবে নেতানিয়াহু আর ওঁর সরকারই বর্বর। আর ওঁদের সমর্থন করছে পশ্চিমী দুনিয়ার বেশিরভাগ অংশ। এটা সত্যিই লজ্জার।
এছাড়া প্রিয়াঙ্কা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ফিলিস্তনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জানান, তাঁর শৈশবকালে একবার ভারত সফরে এসেছিলেন ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের। ইন্দিরা গান্ধি এবং রাজীব গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ইয়াসির । আমিও ছিলাম সেখানে। ভারত ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন।
এদিন গাজায় চলমান ইসরাইলি সামরিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান প্রিয়াঙ্কা। একইভাবে নারী ও শিশুদের ওপর হামলার নিন্দা জানান। ইসরাইলে নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞে সমর্থনের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ায় পশ্চিমা নেতাদেরও ব্যাপক সমালোচনা করেছেন তিনি। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি হলো সবচেয়ে ন্যূনতম পদক্ষেপ যা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত। না হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক কর্তৃত্ব বলে কিছু থাকবে না।