বরেলি: গুগল ম্যাপের তথ্যে নির্ভর করে গাড়ি সমেত ব্রিজ থেকে সটান ৫০ ফুট নীচে নদীতে পড়ে। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। উন্নত প্রযুক্তির দিনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপ অনেক সময় মুশকিল আসান করে। সেই গুগল ম্যাপই এবার তদন্তের মুখে। যন্ত্রের যন্ত্রণা কখনো কখনো প্রাণহানিকর হতে পারে, তার চরম উদাহরণ বরেলি ব্রিজ দুর্ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের বাদাউন জেলার পুলিশ গুগলকে নোটিশ জারি করেছে গুগলকে। নোটিশ দিয়ে পুলিশ জানতে চেয়েছে, ব্রিজটি অসম্পূর্ণ গুগল ম্যাপে কীভাবে ওই ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তথ্য দিল। গুগল ম্যাপের ভুল তথ্যের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। বাদাউন পুলিশ ইমেল পাঠিয়ে গুগল ম্যাপকে নোটিশ দিয়ে সংস্থাকে উত্তর দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছে।
গুগল ম্যাপ দেখে যেতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হন তিন আরোহী। গুগল ম্যাপ দেখে গাড়ি চড়ে তিন জন বরেলি ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। মাঝপথেই সেতু শেষ। গাড়ির চালক যেমন জানতেন না, তেমনই জানত না গুগল ম্যাপও। গাড়ি উলটে পড়ে যায় ৫০ ফুট নীচে নদীতে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা ৩ জনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। নিহত নীতিন, অজিত এবং অমিত তিনজনই ফারুখাবাদের বাসিন্দা। ২৪ নভেম্বর ভোরে ফরিদপুরে (বরেলি) গুগল ম্যাপের সাহায্যে যাচ্ছিলেন।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গুগল ম্যাপে ভুল রুটের তথ্য দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চালক যখন দেখলেন সেতুটি ঝুলছে, তখন তিনি গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গুগলের স্থানীয় প্রতিনিধিকে খুঁজে বের করতে কাঠখড় পোড়াতে হয় পুলিশকে। পুলিশ গুগলের আঞ্চলিক আধিকারিকের খোঁজ করলেও তাঁর নাম-ঠিকানা সম্পর্কে তথ্য পায়নি। তাই, তদন্তকারী অফিসার সাব ইন্সপেক্টর কুলদীপ সিং গুগলের গুরুগ্রাম অফিসের ইমেল আইডিতে নোটিশ পাঠিয়েছেন। ওই সংস্থা যদি সময়মতো নোটিশের উত্তর না দেয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাদাউন পুলিশ।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের অসাবধানতাতেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বেশকিছু দিন আগে সেতু ভেঙে পড়লেও ব্রিজের শুরুতে কোনও বোর্ড লাগানো হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গাড়িটি ভাড়া করে বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন দুই যুবক। তবে এই ধরনের ঘটনা গুগলের দায়বদ্ধতা নিয়েই নয়, ডিজিটাল ডিভাইসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।