পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক : ‘অন্য গাছের ছাল লাগানো হয়েছিল, এখন খুলে পড়ে যাচ্ছে’, তৃণমূল থেকে আসা বেসুরো বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয় । মোদি- অমিত জুটির লক্ষ্যই ছিল বাংলা দখল। দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করতে সুদূর দিল্লি থেকে বার বার এসেছেন বাংলার মাটিতে । কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিজেপির স্লোগান ছিলো ‘ইস বার দো’ শো পার’ কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল । নির্বাচনে জয়ের পরে নীচুতলা থেকে উঁচুতলা পর্যন্ত বেশিরভাগ নেতারাই বেসুরো গাইছেন।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের নিয়ে এখন বেজায় সমস্যায় বিজেপি। কখন কে কী বলে দেয়, বুঝে ওঠা দায় হয়ে পড়েছে । কখনও সৌমিত্র খাঁ ফেসবুক লাইভে তোপ দাগছেন তো কখনো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক পোস্টে কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিরোধী নেতাকে বলব যার নেতৃত্বে এবং যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। সব্যসাচী দত্ত তো আবার হারের জন্য প্রচারে হিন্দিভাষীদের দাপটের দিকেই আঙুল তুলেছেন। একে হার, তার ওপর তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের একের পর এক খোঁচা । আর তাতেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই দিলীপ ঘোষের চাঁচাছোলা স্বীকারোক্তি।