পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তাপমাত্রা এবং স্পর্শের জন্য রিসেপ্টরের (অঙ্গ বা কোষ, যা আলো, তাপমাত্রার মতো বাহ্যিক উদ্দীপকে সাড়া দেয়) আবিষ্কার করেছেন। যা নয়া পেনকিলার তৈরির পথ প্রশস্ত করতে পারে। সেজন্য চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন আমেরিকার ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্দেম পাতাপাউশিয়ান।
আমাদের গাত্রত্বকের ঠিক নীচে থাকা স্নায়ুগুলি কী ভাবে চট করে ধরে ফেলতে পারে তাপমাত্রার তারতম্য? উষ্ণতা, শৈত্য, বিভিন্ন ব্যক্তি ও বস্তুকে আমাদের স্পর্শ করার অনুভূতিগুলি কেন একে অন্যের চেয়ে আলাদা হয়, তার কারণ জানতে কাঁচা লঙ্কা থেকে পাওয়া একটি যৌগকে ব্যবহার করেছিলেন জুলিয়াস। খুব কটু গন্ধের সেই যৌগটির নাম- ‘ক্যাপসাইসিন’। এই যৌগটি স্পর্শ করলে আমরা তীব্র জ্বালাবোধ করি ত্বকে। এই যৌগটির মাধ্যমেই জুলিয়াস প্রথম জানতে পেরেছিলেন, আমাদের স্নায়ুর সেন্সরগুলি কী ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, বস্তু ও পরিবেশকে সাড়া দেয়। তাপমাত্রার তারতম্য বুঝতে পারে। পড়ে নিতে পারে অব্যর্থ ভাবে।
সুইডেনের ক্যারোলিঙ্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলির তরফে বলা হয়েছে, তাঁদের আবিষ্কার ‘জানতে সাহায্য করেছে, কীভাবে গরম, ঠান্ডা এবং যান্ত্রিক শক্তি’ স্নায়ুর উত্তর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে। যা পারিপার্শ্বিক দুনিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ এবং সেই দুনিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে থাকে। নোবেল কমিটির সেক্রেটারি-জেনারেল থমাস পার্লমান বলেছেন, ‘এটা সত্যিই প্রকৃতির অন্যতম গোপন বিষয়কে উন্মোচিত করেছে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অসামান্য আবিষ্কার।’
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, লাল মরিচের সক্রিয় উপাদান ক্যাপসেসিন ব্যবহার করে স্নায়ুর উদ্দীপককে চিহ্নিত করেছেন সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলিয়াস। যা ত্বককে তাপমাত্রায় সাড়া দিতে সাহায্য করে থাকে। অন্যদিকে, কোষে ভিন্ন ধরনের চাপ সংবেদনশীল উদ্দীপকের সন্ধান পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোল্লার স্ক্রিপস রিসার্চে মলিকিউলার বায়োলজিস্ট (আণবিক জীববিজ্ঞানী) এবং নিউরো-সায়েন্টিস্ট (স্নায়ুবিজ্ঞানী) আর্দেম। যা যান্ত্রিক উদ্দীপকে সাড়া দেয়।