পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতিকে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশেষ সম্মানে ভূষিত হলেন বিশিষ্ট তথ্যচিত্র পরিচালক মুজিবর রহমান। রবিবার রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর ও বিদ্যাসাগর আকাদেমির এক অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ওই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু– শিক্ষা দফতরের প্রধানসচিব মণীশ জৈন– মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য-উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়– রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য ও বিশিষ্টরা।
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়েছে– সমাজে ভাষা– সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে যাঁরা বিশেষভাবে কাজ করছেন এবং নিরন্তর বাংলার গৌরব শ্রীবৃদ্ধি করে চলেছেন তাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে। দফতর আরও জানিয়েছে– মুজিবর রহমান শিক্ষা ও সমাজ সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র নির্মাণ করে দেশ ও জাতির ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন। আর সেই কারণে তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হল। এদিন আরও তিন কৃতীকে ‘বিদ্যাসাগর-দিনময়ী’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে রাজ্য সরকার। তাঁরা হলেন, বিশিষ্ট ভাষাতত্ববিদ অধ্যাপক প্রবাল দাশগুপ্ত– সমাজবিজ্ঞানী কুমার রাণা– অধ্যাপক রুচিরা গুপ্ত। সবাইকে এদিন শাল– পুস্তক– হাতঘড়ি– স্মারক ও মানপত্র প্রভৃতি দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
এদিন মুজিবর রহমান বলেন– জীবনে অনেক কাজ করেছি। দেশ-বিদেশের মাটিতে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছি– এটা অন্যরকম অনুভূতি। রাজ্য সরকারের এই অনন্য সম্মান আমাকে চিরদিন অনুপ্রাণিত করবে। আমি বিদ্যাসাগরের উপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে চাই– সেই কাজে আরও উৎসাহ এনে দিল ‘বিদ্যাসাগর-দিনময়ী’ পুরস্কার।
প্রসঙ্গত– মুজিবর রহমানের জন্ম মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে। তিনি কলকাতায় পড়াশোনা করতে এসে থিয়েটার ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হন। এক সময় মুম্বাইয়ে পাড়ি দেন। সেখানে গিয়ে মেগা-সিরিয়ালে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে কাজ শুরু করেন। নিম্বাস টেডিভিশনেও বেশ কিছু সময় কাজ করেন। ফের ফিরে আসেন কলকাতায়। এবার রীতিমত কাজ শুরু করেন। টিভি– সিরিয়াল– তথ্যচিত্র নির্মাণের উপর মনোনিবেশ করেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় পঞ্চাশটি ছবি নির্মাণ করেছেন। বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে ‘নজরুল জীবনপরিক্রমা’ যেমন আর্ন্তজাতিক স্তরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে– তেমনি বিশ্বকবির উপর নির্মিত তাঁর একটি ছবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কটল্যান্ডের এডিনবোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।