পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর। জম্মু-কাশ্মীরের গান্দেরবল জেলায় রবিবার রাতে এই জঙ্গি হামলা চলে। হামলা এখনও পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন চিকিৎসক সহ ৬ জন নির্মীয়মাণ কর্মী। আহত আরও ১০। হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
রবিবার স্থানীয় একটি নির্মীয়মাণ টানেলের কাছে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের লস্কর ই তৈবার সংগঠন, দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। টিআরএফ প্রধান শেখ সাজ্জাদ গুল এই হামলার মাস্টার মাইন্ড বলে খবর। জঙ্গি সংগঠনটির স্থানীয় মডেল অনুযায়ী গান্দেরবলে এই হামলার ছক কষেছিলেন তিনি। তাদের প্রধান লক্ষ্য শুধু কাশ্মীরিদের নয়, কাশ্মীরের বাসিন্দা নয় এমন মানুষজনকেও টার্গেট করেছে তারা।
মৃত শ্রমিকরা হলেন ফাইম নাজির, কালিম, মহম্মদ হানিফ, শশী আবরোল, অনিল শুক্লা এবং গুরমিত সিং৷ তাদের মধ্যে তিনজন বিহারের বাসিন্দা, শশী জম্মু ও অনিলের বাড়ি মধ্যেপ্রদেশে, গুরমিত পঞ্চাবের বাসিন্দা। মৃত চিকিৎসকের নাম ডাঃ শাওনওয়াজ। তিনি বুদগামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ক্যাম্পে শ্রমিক আধিকারিকদের চিকিৎসার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।
Read more: দিল্লির সিআরপিএফ স্কুল কাণ্ডে নয়া মোড়, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার খালিস্তানি সংগঠনের
জানা গেছে, গান্দেরবল জেলার গগনগীর এলাকায় শ্রীনগর -লে সড়কের উপর একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টানেলের কাজ চলছিল। রবিবার এই টানেলের কাজ সেরে ক্যাম্পে ফিরছিলেন তারা, সেই সময় তাদের উপর এই হামলা চালানো হয়। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। দুই পরিযায়ী শ্রমিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, বাকি ৪ জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান।
হামলাকারীরা একটি ইনসাস রাইফেল ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোম্পানির দুটি গাড়িও পুড়ে গেছে। সংবাদমাধ্যমকে খবর করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশ এলাকা ঘিরে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। তল্লাশি অভিযানের কারণে সাংবাদিকদে হামলার স্থান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মণিগ্রামের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি।
2 Comments
Pingback: দিল্লির সিআরপিএফ স্কুল কাণ্ড, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার খালিস্তান সংগঠনের
Pingback: কাশ্মীরে গান্দেরবলে জঙ্গি হামলাকে কাপুরোষিত বলে ধিক্কার ওমরের, নিন্দা শাহের