পুবের কলম প্রতিবেদক: পর্ণশ্রীর সেনপল্লীতে সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিৎ মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় রবিবারই মৃতার দুই মাসতুতো ভাই সঞ্জয় দাস এবং সন্দীপ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে– প্রচুর দেনা থাকায় টাকা-সোনা লুঠের পরিকল্পনা ছিল দুই ভাইয়ের। তাদের ধারণা ছিল সুস্মিতা মণ্ডলের কাছে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না থাকবে। তবে– দিদির কাছে এধরনের কিছুই না পেয়ে রাগের বশে দিদি সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিৎকে নৃশংসভাবে খুন করে দুই মাসতুতো। এই ঘটনার পর ধৃত দুই মাসতুতো ভাইয়ের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার বাবা ও স্বামী।
পুলিশ সুত্রে খবর– জেরায় ধৃত দুই ভাই স্বীকার করেছে– ঘটনার দিন তারা দিদির বাড়িতে গিয়ে এক কাপ করে চা খেয়েছিল। এরপর সুস্মিতা মণ্ডল ও তমোজিৎকে খুন করার পর যাতে বাড়িতে কেউ এসেছিল তা যাতে বোঝা না যায় তাই– রান্নাঘরে গিয়ে চায়ের কাপ দুটি ধুয়ে যেখানে কাপ রাখা হয় সেই জায়গাতেই কাপ দুটি রেখে দেয়। একইসঙ্গে– জেরায় দুই ভাই স্বীকার করেছে– তাদের মাথার উপরে বিশাল দেনার ভার থাকায় টাকা-সোনা লুঠের পরিকল্পনা করে তারা। শুধু তাই নয়– বড় ভাইয়ের কাঁধ থেকে দেনার ভার লাঘব করতে ছোট ভাইও তার সঙ্গ দেয়।
রবিবারই লালবাজারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) মুরলীধর শর্মা জানান– শনিবার রাতেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বজবজের বাসিন্দা সঞ্জয় দাসকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। এরপর টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের দোষ স্বীকার করলে রাত প্রায় ২টো নাগাদ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ছোট ভাই সন্দীপকে ইন্ডিয়ান একসচেঞ্জ বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে বিকেল চারটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে– সঞ্জয়ের বাড়িতে রাতে যখন তদন্তকারীরা যান– সেসময় তারস্বরে গান– মদ্যপান চলছিল তার বাড়িতে। উপস্থিত ছিল তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।