অসলো, ১ সেপ্টেম্বর: নরওয়ের সমুদ্র সৈকতে ১৪ ফুট লম্বা ও ২,৭০০ পাউন্ডের একটি বিশাল তিমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, এই তিমিটিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘গুপ্তচর’ হিসেবে ব্যবহার করছিল রাশিয়ার নৌবাহিনী। বেলুগা প্রজাতির হলদিমির নামের এই তিমিটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে। তিমিটির গলায় মানুষের তৈরি বর্ম লাগানো ছিল। সেবছর নরওয়ের মৎস্য বিভাগ তিমিটিকে ধরে ফেলে। তখন তিমিটির গায়ে লাগানো বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরাটি খুলে ফেলা হয়।
তিমিটির গায়ে মোড়ানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ।’ ওই সময় নরওয়ের মৎস্য বিভাগ জানিয়েছিল, তিমিটি হয়তো খাঁচা থেকে পালিয়ে এসেছে। রাশিয়া এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করায় রহস্য আরও ঘনিভূত হয়েছে। এটি গুপ্তচর তিমি নাকি সাধারণ কোনও তিমি, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চলেছে দীর্ঘদিন। নরওয়ের ‘হল’ এবং রাশিয়ার ‘ভ্লাদিমির’-এই দুই শব্দ এক করে তিমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হলদিমির’।
এ ধরনের তিমি সুমেরু অঞ্চলের সমুদ্রেই দেখা যায়। কিন্তু হলদিমির কী করে মানুষের কাছাকাছি এল, তা এক রহস্য। গত বছরেও অসলোতে দেখা গিয়েছিল হলদিমিরকে। নরওয়ের মেরিন মাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্তিয়ান স্ট্যান্ড বলেন, ‘হলদিমিরের মৃত্যু হৃদয়বিদারক। সে নরওয়েরর হাজার হাজার মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে।’ তবে হঠাৎ কীভাবে মৃত্যু হল হলদিমিরের, তা এখনও স্পষ্ট নয়।