পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের দাবি, স্ত্রীর
সম্মতি বা অসম্মতিকে অগ্রাহ্য করার অধিকার পুরুষের নেই। এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে
শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা ধর্ষণ বলা কঠোর ও অসম হবে। বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বৃহস্পতিবার
সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।
‘হ্যাঁ’ মানে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ মানে ‘না’।
সহবাসের জন্য উভয়ের সম্মতি একান্তই প্রয়োজন।
একজন স্ত্রীকেও তার স্বামী সহবাসের জন্য জোর করতে পারেন না। পিঙ্ক সিনেমায় খুব
সুন্দরভাবে এই কথাটি তুলে ধরেছিলেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।
এদিন কেন্দ্র সরকার তার
হলফনামায় জানিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণ যতটা না আইনি বিষয় তার থেকে বেশি সামাজিক সমস্যা।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক
পর্যালোচনা না করে, সবপক্ষের মতামত না নিয়ে, রাজ্যের
অবস্থান না জেনে কোনও সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা ঠিক হবে না।
কেন্দ্রের
পর্যবেক্ষণ, বিয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন
হবেই। একজন স্ত্রী’র প্রতি তার স্বামীর শারীরিক চাহিদা থাকতেই পারে। তার মানে এই
নয় যে স্ত্রীকে কেউ তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করবে। কিন্তু ধর্ষণ
আইনে শাস্তি দেওয়া কিছুটা বাড়াবাড়ি এবং সামঞ্জস্যহীন।
উল্লেখ্য, আইপিসি ১৮৬০-এর
৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ নিয়ে নানা কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে ‘ব্যতিক্রম’ হিসেবে বলা হয়েছে
স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামী যদি জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন
সেক্ষেত্রে তা ‘ধর্ষণ’ হিসেবে বিবেচ্য হবে না। বর্তমানের ভারতীয় ন্যায়
সংহিতা, ২০২৩-এ একই
প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে।
কিন্তু ‘বৈবাহিক ধর্ষণ‘ কেন ধর্ষণের আওতায় পতিত হবে না তা নিয়ে একাধিক মামলা
হয়। জল গড়ায় শীর্ষ আদালতে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন
শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে মতামত জানাল কেন্দ্র।