পুবের
কলম,ওয়েবডেস্কঃ তুচ্ছ কারণে মুসলিম হত্যা ‘আম’ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বিগত ১০
বছরে দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে গরুর মাংস বহন ও ভক্ষণের জেরে সহিংসতার ঘটনা
এই তথ্য চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে। দেশে লাগাতার মুসলিম বিদ্বেষ ও হত্যার
ঘটনার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল
গান্ধি লেখেন, গোমাংস ভক্ষণের মিথ্যা অভিযোগে বাঙালি শ্রমিক সাবির মল্লিক’কে যে ভাবে পিটিয়ে খুন
করা হয়েছে, তা দেখে আমি শিহরিত।
ধর্মীয় উসকানি দিয়ে দেশের কোণায় কোণায় যে ভাবে মুসলিমদের হত্যা করা
হচ্ছে তা একেবারে নিন্দনীয়। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রে মুসলিম বৃদ্ধ’কে গরুর মাংস বহনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে
যেভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক।
মোদি জমানায় স্ব-ঘোষিত গোরক্ষকদের হাতে দেশে মুসলিম অত্যাচার ও নিধন
রুটিনে পরিণত হয়েছে। হরিয়ানা
ও মহারাষ্ট্রের ঘটনা তারই প্রমাণ।
দুটি পৃথক রাজ্য। ধর্মে দু’জনই মুসলমান। খাদ্যাভাষে গরুর মাংস খাওয়ার অভ্যাস
রয়েছে। যেই স্বাধীনতা দেশের
সংবিধান তাদের দিয়েছে। অথচ সেই দেশেই মিথ্যা অভিযোগে প্রাণ খোয়াতে হল একজন’কে । ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মের নিরপেক্ষতা যে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে তা বলার
অবকাশ রাখে না।
১০৩
(২) ধারা অনুযায়ী, ‘পাঁচ জন বা তার বেশি ব্যক্তির দল যদি বর্ণ,জাতি,লিঙ্গ,
জন্মস্থান, ভাষা, বিশ্বাস বা এই ধরনের অন্য কোনও কারণে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করে,
তাহলে তাদের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।’ বড় অঙ্কের জরিমানাও করা
হতে পারে। এই ক্ষেত্রে হরিয়ানা সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।