কাবুল, ২৪ আগস্ট: ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানে এখন শরিয়া আইন জারির কাজ জোরকদমে চালাচ্ছে তালিবান সরকার। সেই মতোই নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক একগুচ্ছ নিয়মকানুন আইন হিসেবে কার্যকর করা শুরু করেছে তালিবান সরকার।
আইনের আওতায় দেশটিতে নারীদের মুখ ঢেকে চলতে হবে, পুরুষদের দাড়ি রাখতে হবে, গাড়ি চালানোর সময় বাজানো যাবে না গান এবং বাদ দেওয়া যাবে না নামায আদায় ও রোযা পালন। এক ঘোষণায় এসব কথা জানিয়েছে আফগানিস্তানের বিচারমন্ত্রক।
গত সপ্তাহে একগুচ্ছ আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয় দেশটিতে। আফগানিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালে সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশনা ও শরিয়া আইন অনুযায়ী নতুন আইনগুলি লাগু করা হচ্ছে। আইন কার্যকরে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রক। এরই মধ্যে নিয়মভঙ্গের জন্য হাজারো মানুষকে আটক করা হয়েছে দেশটিতে।
বিচার মন্ত্রকের মুখপাত্র বরকতুল্লাহ রাসূলি বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার অনুমোদনের পর নৈতিকতা,বিষয়ক ৩৫টি নিয়মকানুন আইন হিসেবে কার্যকর ও নথিবদ্ধ করা হয়েছে।’ আইন অনুযায়ী, আফগানিস্তানে নারীদের পুরো শরীর ও মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে। আগের মতোই পুরুষদের দাড়ি কাটার ওপর বিধিনিষেধ আরোপিত থাকবে।
সেই সঙ্গে নামায আদায় ও রোযা পালন বাদ দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে সব মুসলিমকে। ২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিমা,সমর্থিত আশরাফ গানি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতায় আসে তালিবান। এরপর থেকেই তালিবানের বিভিন্ন রীতিনীতির সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমারা। নানা অভিযোগে আফগানিস্তানকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা।
তবে আফগানিস্তান রাশিয়া ও চিনের মতো পরাশক্তির সমর্থন পেয়েছে। বিভিন্ন দেশে দূতাবাসও খুলছে দেশটি। বিভিন্ন খাতে হচ্ছে উন্নয়ন। তালিবানের ভাষ্য, তারা নারীদের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে সেটা অবশ্যই শরিয়াহ আইন ও স্থানীয় প্রথার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিষয়কে দেখতে হবে স্থানীয়ভাবেই। দেশের কোনও ব্যাপারে বাইরের কেউ নাক গলালে তা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে তালিবান।