দেবশ্রী মজুমদার, তারাপীঠ: হরিদ্বারে গঙ্গা আরতির আদলে কৌশিকী অমাবস্যা থেকেই দ্বারকা নদীতে শুরু হলো সন্ধ্যা আরতি। নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গা-আরতি। মন্দিরের পাঁচ জন সেবাইত প্রথম আরতি শুরু করলেন। এই আরতি দেখতে দ্বারক নদীর চারিদিকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে কৌশিকী অমাবস্যা। এই বিশেষ দিনে লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থী তারাপীঠে ভিড় জমান। এই বিশেষ দিনে মা তারার পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয় বলে পূণ্যার্থীদের বিশ্বাস। তাই এবারও রাজ্য ছাড়িয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম থেকে লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন তারাপীঠে। এই বিশেষ দিনে গঙ্গা-আরতি শুরু করতে পেরে খুশি প্রশাসন থেকে মন্দির কমিটি।
জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন পর বাস্তবে রূপ পেল। ইতিমধ্যে আরতির জন্য দ্বারকা নদীর পশ্চিমপাড়ে ঘাট তৈরি করেছে তারাপীঠ – রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। সেই ঘাটেই আরতি শুরু করা হল। এই আরতি তারাপীঠে আসে পূণ্যার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।”
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্বারকা নদী এখানে উত্তর বাহিনী। ফলে দ্বারকা নদীকে এখানে গঙ্গা রূপে পুজো করা হয়। তাই এখানে গঙ্গা-আরতি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো নদীর পশ্চিম পাড়ে পার্ক গড়া হয়েছে। আরতির জন্য কংক্রিটের ঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানেই পঞ্চপ্রদীপ সহযোগে পাঁচ জন সেবাইত আরতি করলেন”।
পুবের কলমকলকাতা থেকে প্রকাশিত বিভাগোত্তর বাঙ্গালী মুসলমানদের একমাত্র বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র। দৈনিক কলম ভারত এবং আন্তর্জাতিক সংবাদের সাথে সাথে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিষয়সমূহ প্রকাশ করে। …